Tuesday, April 9, 2019

রাউটিং কি? রাউটিং কত প্রকার ও কি কি

নেটওয়ার্ক রাউটার এবং রাউট কী

রাউটার হলো এমন একটি ডিভাইস যা লেয়ার ৩ এ কাজ করে এবং রাউটিং প্রোটকল ইউজ করে ডাটা পাকেটকে এক নেটওয়ার্ক থেকে আরেক নেটওয়ার্কে ট্রান্সমিট করে । আর নেটওয়ার্ক রাউট হলো এক নেটওয়ার্ক থেকে আরেক নেটওয়ার্কে ডাটা প্যাকেট পাঠানোর যে পথ সেটিই নেটওয়ার্ক রাউট।

 বেসিক রাউটার ব্লক ডায়াগ্রাম:

  • ্যাম:  র‌্যাম ব্যবহার করা হয় রাউটিং টেবিল এর তথ্য এবং রানিং কনফিগারেশন এর ফাইল জমা রাখার জন্য।
  • ফ্লাশ মেমরিফ্লাশ মেমরি ব্যবহার করা হয় অপারেটিং সিস্টেম জমা রাখার জন্য।
  • এনভির্যামএনভির‌্যাম ব্যবহার করা হয় স্টার্টআপ ফাইল জমা রাখার জন্য। 
  • প্রসেসর: ডাটাসমুহকে প্রসেস করার জন্য প্রসেসর ব্যবহার করা হয়।

Routing Protocol

রাউটিং প্রোটকল হল কিছু নিয়মনীতির সমন্বয়। রাউটার এর মাধ্যমে যখন ডাটা এক নেটওয়ার্ক থেকে আরেক নেটওয়ার্ক এ ডাটা ট্রান্সমিট হয় তখন কিছু নিয়ম বা রুলস মেনে ডাটাকে এক নেটওয়ার্ক থের্কে আর এক নেটওয়ার্ক এ ট্রান্সমিট হতে হয় । এই নিয়মনীতি সমুহকে বলাহয় রাউটিং প্রোটকল। রাউটিং প্রোটকল ‍সফটওয়্যার ও রাউটিং অ্যালগরিদম ব্যবহার করে ডাটা ট্রান্সমিট এর জন্য অনুকুল পথ নির্ধারন ও পাকেট ট্রান্সমিট করে থাকে।

আমরা যদি আরো সহজ ভাবে বলি । রাউটিংয়ের প্রোটোকল হল সেই প্রোটোকল যা রাউটার দ্বারা একে অপরের মধ্যে তাদের রাউটিং টেবিলের বিনিময়ে ব্যবহৃত হয়। এভাবে প্রত্যেকটি রাউটার তাদের রাউটিং টেবিল তাদের নেবার বা প্রতিবেশি রাউটারের কাছে শেয়ার করে । ফলে প্রতিটি রাউটারের কাছে তাদের রাউটিং টেবিলে প্রতিটি নেটওয়ার্ক এ যাওয়ার জন্য একটি বা একাধিক পথ সংরক্ষন করা থাকে। কয়েক ধরনের নেটওয়ার্ক প্রোটকল রয়েছে যেমনঃ- RIP, EIGRP, OSPF and BGP।

রাউটিং প্রোটকল ফাংশন

রাউটিং প্রোটকল নিন্মলিখিত এই ফাংশন গুলি সম্পদন করে থাকে
  • রাউটার নেটওয়ার্কে উপস্থিত অন্যান্য প্রতিবেশী রাউটার থেকে আইপি সাবনেট সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করে।
  • নেটওয়ার্কে প্রতিটি রাউটার আইপি সাবনেট সম্পর্কিত তথ্য অন্যান্য প্রতিবেশী রাউটারের রাউটিং তথ্য এডভ্যাটাইজ/শেয়ার করে। নেটওয়ার্কে কতটি সাবনেট আছে, প্রতিটি সাবনেটে যাওয়ার জন্য কি কি রুট আছে ইত্যাদি তথ্য এডভ্যাটাইজ করে ।
  • যদি রাউটার দেখে যে তার গ্রন্তব্য সাবনেটে পৌঁছানোর জন্য একাধিক রুট রয়েছে, তাহলে রাউটারটি মেট্রিক ক্যালকুলেশন এর উপর ভিত্তি করে সর্বোত্তম রুটটি বেছে নেয়। (মেট্রিকটি হতে পারে HOP COUNT, BANDWIDTH, COBINATION OF BANDWIDTH and DELAY) ।
  • যদি নেটওয়ার্কের মধ্যে একটি পরিবর্তন ঘটে থাকে, যাকে বলে নেটওয়ার্ক কনভাজেন্স, উদাহরণস্বরূপ যদি একটি নতুন সাবনেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হয় বা নেটওয়ার্কে বিদ্যমান একটি সাবনেট ডাউন হয়ে যায় তবে রাউটারগুলি অবিলম্বে পরিবর্তনের সাথে প্রতিক্রিয়া জানাবে যেমন নতুন যোগ করা বা ডাউন হওয়া সাবনেট সম্পর্কিত তথ্য রাউটার সকল নেবার বা প্রতিবেশি রাউটারের কাছে এডভ্যাটাইজ করে ।

INTERIOR And EXTERIOR Routing Protocol

রাউটিং প্রোটকলকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা
  1. INTERIOR Gateway Routing Protocol (IGP)
  2. EXTERIOR Gateway Routing Protocol (EGP)

INTERIOR Gateway Routing Protocol (IGP)

ইন্টেরিয়র গেটওয়ে রাউটিং প্রোটকল হল এমন একটি প্রোটকল যা একটি সিংগেল Autonomous System এর মধ্যে অবস্থান করে । Autonomous System বা সংক্ষেপে AS বলতে এমন একটি রাউটিং এরিয়া বা ডোমেইনকে বুঝায় যেখানে একাধিক রাউটার একই রাউটিং পলিসি বা মালিকানার অধীণে থাকে ।অনেক গুলি রাউটার বা গ্রুপ অফ রাউটার যারা  একজন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কন্টোল এর আন্ডারে থাকে তাকে বলে একটি সিঙ্গেল Autonomous System অথবা  এভাবে বলতে পারি যে একটি  গ্রুপ অফ রাউটার যখন তারা সবাই একই রাউটিং প্রোটকল ব্যবহার করে। সুতরাং একটি সিঙ্গেল অটোনামা সিস্টেম এর মধ্যে যে সকল রাউটিং প্রোটকল কাজ করে তাদেরকে বলা হয় IGP।  উদাহরণ সরুপ RIP, EIGRP, OSPF

EXTERIOR Gateway Routing Protocol (EGP)

ভিন্ন ভিন্ন অটোনামা সিস্টেম এর মধ্যে যে সকল রাউটিং প্রোটকল রান করে তাদের বলা হয় EXTERIOR Gateway Routing Protocol বা EGP। অলাদা আলাদা দুই বা ততোধিক অটোনামা সিস্টেম এর মধ্যে ডাটা রাউটিং করার জন্য যে প্রোটকল সমুহ ইউজ করা হয় তাদের বলা হয় EGP বা EXTERIOR Gateway Routing Protocol ।
সাধারণত তিন ধরনের রাউট হয়ে থাকে:
  • স্ট্যাটিক রাউট (Static Route)
  • ডাইনামিক রাউট (Dynamic Route)
  • ডিফল্ট রাউট (Default Route)

স্ট্যাটিক রাউট (Static Route)

স্টাটিক রাউট এর ক্ষেত্রে রাউটিং রুট ম্যানুয়ালি ডিফাইন করে দিতে হয়।কোন কারণে যদি এই রাউটিং এ যদি রাউট পরিবর্তন ঘটে তাহলে ম্যানুয়ালি তা আপডেট করতে হয়। ছোট নেটওয়াকের্র ক্ষেত্রে স্ট্যাটিক রাউট ব্যবহিত হয়ে থাকে।

ডাইনামিক রাউট (Dynamic Route)

ডাইনামিক রাউট হলো সে সব রাউট যা সময়ের সাথে সাথে আপনা আপনি রাউটিং টেবিলের পরিবর্তন ঘটে। ফলে ম্যানুয়ালি কিছু করার প্রয়োজন হয় না। যেকোন রাউট পরিবর্তন হলে সেটি অটোমেটিক্যালি রাউটিং টেবিল এ যোগ হয়। যেমন: RIP, EIGRP, OSPF

ডিফল্ট রাউট (Default Route)

কোন গন্তব্যের জন্য রাউট নির্ধারণ করে না দেয়া থাকলে রাউটার ডিফল্ট হিসেবে যে পথ বেছে নেবে সেটিই হলো ডিফল্ট রাউট।
এছাড়াও আরো তিন ধরনের রাউটিং প্রোটকল রয়েছে, যথা-
  • ডিস্টেন্স ভেক্টর রাউটিং প্রটোকল (Distance Vector Routing Protocol)
  • লিংক স্টেট রাউটিং প্রটোকল (Link state  Routing Protocol)
  • ব্যালেন্সড হাইব্রিড প্রোটকল (Balanced Hybrid Protocol)

ডিস্টেন্স ভেক্টর রাউটিং প্রটোকল (Distance Vector Routing Protocol):

Distanceমানে হচ্ছে দূরত্ব এবং Vector  মানে হচ্ছে পথ। Distance Vector রাউটিং  এক নেটওয়ার্ক থেকে ডেস্টিনেশন নেটওয়ার্ক এর দুরত্ব কত  এর উপর ভিত্তি করে রুট নির্ধারন করে থাকে । সুতরাং Distance Vector রাউটিং প্রটোকল এমন একটি রাউটিং প্রোটকল যা  HOP Count এর ভিত্তিতে কাজ করে। একটি নেটওয়ার্ক থেকে আর একটি নেটওয়ার্ক এ পৌছানোর জন্য তাকে কতগুলি রাউটিার আতিক্রম করতে  হয় । এই প্রতিটি রাউটারকে বলা হয় একটি করে HOP । ডিস্টেন্স ভেক্টর রাউটিং প্রটোকল যখন কোন রাউটারে রান করে সে যদি কোন ডেস্টিনেশনে ডাটা পাকেট পাঠায় তখন যে পথে সে সবচেয়ে কম HOP/Router পায় সেই পথে সে ডাটাপাকেট পাঠায়। উদাহরণ : RIP, IGRP.

লিংক স্টেট রাউটিং প্রটোকল (Link state  Routing Protocol)

লিংক স্টেট রাউটিং প্রটোকল রাউটিং প্রোটকল হল এমন একটি প্রেটিকল যা নেটওয়ার্ক এর লিংক এর Cost এর উপর ভিত্তি করে রাউটিং রুট নির্ধরন করে থাকে। Link State রাউটিং প্রটোকলসমূহ Shortest Path First (SPF) এ্যালগরিদমের মাধ্যমে রাউট ক্যালকুলেশন করে থাকে। এই SPF এ্যালগরিদমটি Edsger Dijkstra নামক একজন ব্যাক্তি লিখেছিলেন। এজন্য SPF কে Dijkstra’s Algorithm (ডাইজ্কস্ট্রা’স এ্যালগরিদম) ও বলা হয়। এই এ্যালগরিদমের মাধ্যমে একটি সোর্স নেটওয়ার্ক থেকে কোন একটি ডেস্টিনেশন নেটওয়ার্কে যাওয়ার সম্ভাব্য প্রতিটি পাথকে Cost সহ হিসেব করা হয়। এই কষ্ট নির্ধরণের একটি সূত্র আছে তা হল  Cost=(108/Bangdwidth). উদাহণ: OSPF।

ব্যালেন্সড হাইব্রিড প্রোটকল (Balanced Hybrid Protocol)

যে রাউটিং প্রোটকল ডিস্টেন্স ভেক্টর রাউটিং প্রেটকল ও লিংক স্টেট রাউটিং প্রেটকল এর সমন্বেয়ে গঠিত তাকে বলা হয় ব্যালেন্সেড হাইব্রিড প্রোটকল বলা হয়। ব্যালেন্সেড হাইব্রিড প্রোটকলে ডিস্টেন্স ভেক্টর রাউটিং প্রেটকল ও লিংক স্টেট রাউটিং প্রেটকলের বৈশিষ্ট বিদ্যমান থাকে। উদাহরণ: EIGRP

No comments:

Post a Comment