Showing posts with label Operating System. Show all posts
Showing posts with label Operating System. Show all posts

Saturday, March 30, 2019

সার্ভার অপারেটিং সিস্টেম কি

সার্ভার অপারেটিং সিস্টেম কি?

একটি সার্ভার অপারেটিং সিস্টেম (OS), অপারেটিং সিস্টেমের একটি প্রকার যা সার্ভার কম্পিউটারে ইনস্টল এবং ব্যবহার করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। সার্ভার অপারেটিং সিস্টেম একটি সাধারণ অপারেটিং সিস্টেমের একটি উন্নত সংস্করণ, যা client-server অর্কিটেকচার বা সেমিলার কম্পিউটিং ইনভায়ারমেন্ট এর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

কিছু কমন সার্ভার অপারেটিং সিস্টেম

  1. Windows Server
  2. Unix
  3. Linux
  4. Mac OS X Server

উইন্ডোজ সার্ভার

বহুল প্রচলিত এবং সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সার্ভার অপারেটিং সিস্টেম হল উইন্ডোজ সার্ভার অপারেটিং সিস্টেম। এটির মূল কারণ হল এর উইজার ইন্টারফেস। বর্তমান এই অপারেটিং সিস্টেম পৃথিবিতে সবচেয়ে বেশি ব্যাবহৃত হচ্ছে। 1993 সালে মাইক্রোসফট বাজারে ছাড়ে মাইক্রোসফট Windows NT 3.51। সার্ভার অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে এটি সকলের দৃষ্টি অকর্ষন করে। এর পর 1995 সালে বাজারে ছাড়ে Windows NT 4.0। এভাবে একের পর এক নতুন নতুন ভার্সন বাজারে ছাড়তে থাকে মাইক্রোসফট। সার্ভার অপরেটিং সিষ্টেম হিসেবে মাক্রোসফট সর্বশেষ যে ভার্সনটি বাজারে ছাড়ে তা হল Windows Server 2019।

 উইন্ডোজ সার্ভারের সুবিধা

  • এটি ইন্সটল ও কনফিগার করা বেশ সহজ
  • এটি GUI মোডে কাজ করে তাই কমান্ড মূখস্থ করার কোন ঝামেলা নেই।
  • এটিতে খুব সহজেই ক্লায়েন্ট ইউজারদের ম্যানেজ করা যায়।
  • এতে হাজার হাজার উইজার থাকতে পারে।

উইন্ডোজ সার্ভার অসুবিধা

  • অনেক সময় নতুন কোন সফটওয়্যার বা ডিভাইস ইন্সটল করলে রিবুট দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
  • অন্য নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম এর মত এটি নির্ভরযোগ্য নয়।
  • সব ধরণের হার্ডওয়্যারে উপযোগি নয়।

ইউনিক্স সার্ভার

ইউনিক্স একটি কমান্ডমোড অপারেটিং সিস্টেম। এর সব কমান্ড দিতে হবে কমান্ড প্রম্পট থেকে। ইউনডোজ এর মত এত কোন পয়েন্ট এবং ক্লিক সুভিধা এতে নাই। অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম এর মত এখানেও বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন এবং সার্ভিস চালানো যায়। অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে এটি বেশ দ্রুতগতির, নির্ভরযোগ্য এবং শক্তিশালী। এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক শক্তিশালী সেজন্য এটিকে সর্ভার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

ইউনিক্সের সুবিধা

  • এটি খুবই স্টাবল অপারেটিং সিস্টেম
  • এটি ওয়ার্কস্টেশেন ও সার্ভার হিসেবে কাজ করতে পারে।
  • এটি খুবই দ্রুতগতির
  • এর সাথে রয়েছে অনেক বিল্ড-ইন টুলস, ইউটিলিটি ও কম্পইলার যা ব্যবহার করে ইউনিক্স সার্ভার সহজেই ম্যানেজ করা যায়।

ইউনিক্সের অসুবিধা

  • এটি ব্যবহার করা বেশ জটিল
  • শত শত কমান্ড মখস্থ করতে হয়।
  • ইউনিক্সের কিছু ভর্সন ফ্রি পাওয়া গেলেও অন্য  ভার্সন গুলি বেশ ব্যয়বহুল।
  • ইউনিক্সের কিছু ভার্সন রয়েছে যেগুলি কেবল মাত্র বিশেষ কিছু হার্ডওয়্যার চলে।

লিনাক্স সার্ভার

লিনাক্স একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম। এর সোর্স কোড সকলের জন্য উন্মুক্ত। যে কেউ এর সোর্স কোড দেখে নিজেরমত করে পরিবর্তন করে নিতে পারে। এর আর একটি বড় সুবিধা হল এটি যে কোন প্লাটফমের জন্য উপযোক্ত কম্পইলার দিয়ে সোর্স কোড কম্পাইল করে নিলেই সেটি সেই প্লাটফর্মের উপযোগি হয়ে যায়।
লিনাক্স এর বিভিন্ন ভার্সন রয়েছে। এর মধ্যে জনপ্রিয় লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন হলো রেডহ্যাট লিনাক্স। বর্তমানে সার্ভার হিসেবে এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। এর বেশিরভাগ অ্যাপ্লিকেশন বিনামূলে পাওয়া যায়। তবে্ এটি শেখাও অনেক কঠিন। করণ এর কনফিগার সমুহ এর টারমিনাল থেকে কনফিগার করতে হয়। ইউনিক্স এর মত অনেক কোড মূখস্থ করতে হয়।

লিনাক্স সার্ভার এর সুবিধা

  • ইউনিক্সের থেকে এটি ইন্সটল করা সহজ
  • এটি দ্রুতগতির ও নির্ভরযোগ্য।
  • এটি পিসি, পাওয়ারপিসি এবং স্পার্কস্টেশনে চলে।
  • এটি পাওয়া যায় বিনামূলে
  • এটির সোর্সকোড উন্মুক্ত বলে যে কেউ নিজের মত করে ডেভলপ করতে পারে।

লিনাক্স সার্ভারের অসুবিধা

  • এটি ব্যবহার করা বেশ জটিল
  • শত শত কমান্ড মখস্থ করতে হয়।

ম্যাক ওএস এক্স সার্ভার

এটি এপল এর একটি সর্ভার অপারেটিং সিস্টেম। 1999 সলে এপল এটি বাজারে ছাড়ে। এটি মূলত ইউনিক্স এর উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এর সোর্সকোডও উন্মুক্ত।

ম্যাক ওএস এক্স সার্ভার সুবিধা

  • এটি বেশ সিকিউর
  • এটি গড়ে ওঠেছে ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম এর উপর ভিত্তি করে।
  • এর সাথে আছে বিশ্বের সবচেয়ে দূতগতির এপাচি ওয়েব সার্ভার
  • এতে ম্যাকিন্টশ কম্পিউটারকে কেন্দ্রিয়ভবে নিয়ন্ত্রন এর সুবিধা রয়েছে।

ম্যাক ওএস এক্স সার্ভার অসুবিধা

  • এতে মেইল ও প্রিন্ট সার্ভার নেই
  • এটি উইনডোস ক্লায়েন্ট সার্পোট করে না
  • এটি বর্তমানে ম্যাকিন্টশ অ্যাপলিকেশন সার্পোট করে না।
সার্ভার অপারেটিং সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য
  • সার্ভার অপারেটিং সিস্টেম GUI মোড এবং Command মোড দুই ভাবে ব্যবহার করা যায়।
  • নেটওয়ার্কে সকল প্রসেস সার্ভার অপারেটিং সিস্টেম ঘটে থাকে
  • সকল ক্লায়েন্ট কম্পিউটার এবং অন্যান্য কম্পিউটার সমুহকে ম্যানেজ করা যায়।
  • ব্যবহারকারীদের পরিচালনা করার জন্য কেন্দ্রীয় ইন্টারফেস প্রদান করে
  • নিরাপত্তা এবং অন্যান্য administrative প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করে
  • বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন সার্ভিস সুবিধা প্রদান করে।

Friday, March 15, 2019

অপারেটিং সিস্টেম কি?

আপনি হয়ত অপারেটিং সিস্টেম এই কথাটি শুনেই থকবেন। কিন্তু আপনি জানেন কি এই অপারেটিং সিস্টেম টি আসলে কি? ইংরেজি Operate শব্দটির আভিধানিক অর্থ হল পরিচালনা করা। অপর দিকে System এর আভিধানিক অর্থ হল পদ্ধতি। অর্থাৎ অপারেটিং সিস্টেম বলতে কোন কিছুকে পারিচালনা করার পদ্ধতিকেই বুঝিয়ে থাকে। অপারেটিং সিস্টেম হল (OS) এমন একটি প্রোগ্রাম যা সফ্টওয়্যার এবং হার্ডওয়্যারগুলির মধ্যে ইন্টারফেস হিসাবে কাজ করে। কোন ডিভাইস এর হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারগুলির মধ্যে সমান্বয়ক হিসেবে কাজ করে।

আমেরিকান ন্যাশনাল স্টান্ডার্ড ইনস্টিটিউটের (ANSI) মতে অপারেটিং সিস্টেমের সংঙ্গা হল:
“Software which controls the execution of computer programs and which may provide scheduling, debugging, input/output control, accounting, compilation, storage assignment, data management and related service”
অর্থাৎ “যে সফটওয়্যার কম্পিউটার প্রোগ্রামের এক্সিকিউশন নিয়ন্ত্রন করে এবং সিডিউলিং, ডিবাগিং, ইনপুট/আউটপুট নিয়ন্ত্রণ, একাউন্টিং, কম্পাইলেশন, তথ্যাবলি সংরক্ষণ, কার্যক্রম, তথ্য ব্যবস্থাপনা এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কাজ সমুহ করে থাকে তাকে অপারেটিং সিস্টেম বলে।”

অপারেটিং সিস্টেমও মূলত একটি সফ্টওয়্যার। তবে এটি একটি স্পেশাল সফ্টওয়্যার যা ঐ ডিভাইস/কম্পিউটারে থাকা অন্যান্য সফ্টওয়্যারগুলিকে এক্সিকিউট করে থাকে। এটি একটি কম্পিউটার এর অন্যান্য সকল কর্যপ্রনালি সম্পাদন করা জন্য একটি বিশেষ পোগ্রাম। অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া, একটি কম্পিউটার শুধুমাত্র একটি বক্স ছাড়া আর কিছুই না।

বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম

অপারেটিং সিস্টেম এর কথা বললে অনেকে কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম এর কথা মনে করে। অপারেটিং সিস্টেম বিভিন্ন হতে পারে। জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হল মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম এবং কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম। এছাড়াও আরো অনেক অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে।
কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমের উদাহরণ
  • Microsoft Windows – পারসোনাল কম্পিউটার এবং IBM কম্পিউটার এর জন্য উপযুক্ত একটি অপারেটিং সিস্টেম। Microsoft Windows সবচেয়ে সাধারণ এবং সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত একটি অপারেটিং সিস্টেম।
  • Apple MAC OS – অ্যাপল ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম। এটি শুধুমাত্র অ্যাপল কম্পিউটার জন্যই ব্যবহৃত একটি অপারেটিং সিস্টেম ।
  • Ubuntu Linux – এটিও পারসোনাল কম্পিউটার এবং IBM কম্পিউটার এর জন্য উপযুক্ত একটি অপারেটিং সিস্টেম । এটি ওপেন সোর্স এবং একটি জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম।
  • Google Android – Google Android অপারেটিং সিস্টেমটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং ট্যাবলেট এর জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • iOS – শুধুমত্র অ্যাপল আইফোন এবং আইপ্যাড এ ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম।
  • Chromium – এটি গুগলের একটি অপারেটিং সিস্টেম।
বর্তমানে ব্যবহৃত মর্ডান অপারেটিং সিস্টেগুলি graphical user interface বা GUI অপারেটিং সিস্টেম বলা হয়। GUI অপারেটিং সিস্টেমে আমরার মাউস ব্যবহৃারের মাধ্যমে বিভিন্ন আইকন, মেনু এবং বোতামে ক্লিক করে সহজেই কোন কাজ সম্পাদন করা যায়। প্রতিটি অপারেটিং সিস্টেমে আবার অলাদা আলাদা GUI লুক বি্দ্যমান। যেমন উইনডোস এর ক্ষেত্রে দেখতে এক রকম এবং ‍লিনক্স এর ক্ষেত্রে আবার অন্য রকম। এনড্রএড এর ক্ষেত্রে এটি আবার অন্য এক রকম। বর্তমানের মর্ডান অপারেটিং সিস্টেম গুলি আমার খুব সহজেই ব্যবহৃত করতে পারি কিন্তু আগের যে অপারেটিং সিস্টেম গুলি ছিল ডস মোডে। ঐ অপারেটিং সিস্টেমগুলিতে কিবোর্ড এর মাধ্যমে কমান্ড লিখে লিখে কাজ করতে হত।

অপারেটিং সিস্টেম এর প্রকারভেদ

  • ব্যাচ অপারেটিং সিস্টেম
  • সময়-শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেম
  • ডিস্ট্রিবিউটেড অপারেটিং সিস্টেম
  • নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম
  • রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম

ব্যাচ অপারেটিং সিস্টেম

ব্যাচ মোড অপারেটিং সিস্টেমে দীর্ঘক্ষণ ধরে ডাটা সংগ্রহ করে এবং পরে সকল ডাটাকে নিয়ে একসাথে প্রসেসিং প্রক্রিয়া শুরু করে। এই সিস্টেমে একটি কাজ শেষ হলে পরবর্তী কাজ প্রসেসিং করতে শুরু করে। MS-DOS ব্যাচ মোড পদ্ধতির অপারেটিং সিস্টেম। এই পদ্ধতিকে সিরিয়াল, সিকুয়েনশিয়াল বা অফ-লাইন মোড অপারেটিং সিস্টেমও বলা হয়। প্রথমে ইউজারের দ্বারা সাবমিট করা কাজগুলি কম্পিউটারের মধ্যে একটি ব্যাচে সংগৃহীত হয় এবং একটি ইনপুট সারিতে রাখা হয়। যখন কম্পিউটার প্রতিটি কাজ একটির পর একটি সম্পাদন বা প্রক্রিয়া করতে থাকে তখন ইউজারদের কোন সাহায্যের প্রয়োজন হয় না।

টাইম-শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেম

এই ধরণের অপারেটিং সিস্টেমে বিভিন্ন ইউজারকে CPU এর মোট ব্যবহারযোগ্য সময়, ব্যবস্থপনা মেমরি এবং কম্পিউটার সিস্টেম এর অন্যান্য উপকরণগুলি শেয়ার করে। মাল্টিপ্রোগ্রামিং এর কাজ একই CPU দিয়ে সমাধান করা যায় টাইম শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেমে। এই সিস্টেমে একই CPU এর মাধ্যমে একাধিক প্রোগ্রাম চালানো যায়। একাধিক ব্যবহারকারী এই সিস্টেমে কাজ করতে পারে। টাইম শেয়ারিং এর মাধ্যমে একসথে অনেক ইউজার কাজ করতে পারে।

ডিস্ট্রিবিউটেড অপারেটিং সিস্টেম

এই সিস্টেমে একত্রিতভাবে যুক্ত বিভিন্ন কম্পিউপারগুলি নিজেদের মধ্যে কাজ ভাগ করে নিয়ে প্রদত্ত কাজটি সম্পাদন বা প্রক্রিয়াকরন করে থাকে। একটি অপারেটিং সিস্টেম যা ডিস্ট্রিবিউটেড প্রসেসিংকে সাপোর্ট করে তার প্রধান বৈশিষ্ট হল যোগদানাকারী কম্পিউটারগুলির মধে অপারেশনগুলির সংযোগ রক্ষা ও তথ্যের প্রবাহমানতা বজায় রাখা।

একটি ডিস্ট্রিবিউটেড অপারেটিং সিস্টেম নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম এর মত হতে পারে। যদি একটি নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম, বিভিন্ন সংযুক্ত কম্পিউটারগুলির উপস্থিতি সম্পের্কে ব্যবহারকারী সজাগ থাকে, যেগুলিতে ব্যবহারকারী লগ ইন করতে পারে এবং তথ্য সরবরাহ করতে পারে। যদিও একটি ডিস্টিবিউটেড সিস্টেমে ইউজার ডিস্ট্রিবিউটেড ভাবে কাজের প্রক্রিয়াকরণের ব্যাপারে কিছুই জানতে পারে না। ইউজারের কাছে এটি এমনভাবে ফুটে ওঠে যাতে করে মনে হয় প্রক্রিয়ারণটি একটিমাত্র প্রসেসর সিস্টেমে সম্পাদন হচ্ছে।

নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম

একটি নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম এমন একটি অপারেটিং সিস্টেম যা নেটওয়ার্কগুলিতে একাধিক কম্পিউটারগুলির মধ্যে ওয়ার্কস্টেশন, ডেটাবেস শেয়ার, অ্যাপ্লিকেশন শেয়ার এবং শেয়ার ফাইল এবং প্রিন্টার শেয়ার অ্যাক্সেস ভাগ করে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ডিজাইন করা হয়। বেশিরভাগ সুপরিচিত নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেমগুলির মধ্যে রয়েছে মাইক্রোসফ্ট উইন্ডোজ সার্ভার 2003, মাইক্রোসফ্ট উইন্ডোজ সার্ভার 2008, 2012, লিনাক্স এবং ম্যাক ওএস এক্স।
নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে একজন ইউজার নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হার্ডওয়্যার এবং সফওয়্যার (প্রিন্টার, স্কানার, স্টোরেজ ডিভাইস, বিভিন্ন সফটওয়্যার) শেয়ার করে ইউজ করতে পারে। তবে এর জন্য নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম সহ সকল ইউজারদেরকে একটি নেটওয়ার্কে থাকতে হবে।

রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম

একটি রিয়েল-টাইম অপারেটিং সিস্টেম (RTOS) একটি অপারেটিং সিস্টেম যা একটি নির্দিষ্ট সময় সীমাবদ্ধতার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট কাজ করার নিশ্চয়তা দেয়। সাধারণত এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেম সাধারণত যেখানে ডটিা প্রসেসিং এর জন্য রেসপন্স টাইম জটিল সেখানে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ সরুপ এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট দেখাশোন, কৃত্রিম উপগ্রহের যাতায়াত নিয়ন্ত্রন, রিয়েল টাইম সিমুলেটরস ইত্যাদি। এই ধরনেট অপারেটিং সিস্টেম এর রেন্সপন্স টাইম খুব বেশি হয়। এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেম হল LYNX, RTX ইত্যাদি।

মাল্টিপ্রোগ্রামিং অপারেটিং সিস্টেম

মাল্টিপ্রোগ্রামিং অপারেটিং সিস্টেম এর মাধ্যমে একাধিক প্রোগ্রাম প্রায় একই সাথে একটি মাত্র সিপইউ এর মাধ্যমে এক্সিকিউট হয়ে থাকে। এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেম একই প্রইমারি মেমরিতে একই সাথে একাধিক প্রোগ্রামকে রান করতে পারে। এটি করার জন্য অপারেটিং সিস্টেমকে মেমরির সুষ্ঠ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হয়।
মাল্টিপ্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম

মাল্টিপ্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেমে একাধিক প্রসেসর এক সাথে চালানো যায়। মাল্টিপ্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেমে একসাথে অনেকগুলো প্রসেসর চালানোকে মাল্টিপ্রসেসিং বলা হয়। এই পদ্ধতিতে একটি বড় ও একটি ছোট প্রসেসর থাকে। বড় প্রসেসরকে প্রধান প্রসেসর বা সিপিউ এবং ছোট প্রসেসরকে ফ্রন্ট এন্ড প্রসেসর বা সাপোর্ট প্রসেসর বলা হয়। এই সিস্টেমের মাধ্যমে কাজের গতিবাড়ানো যায়।