Friday, February 1, 2019

TCP/IP কী বিস্তারিত জানুন

অনেক পুরাতন ও বহুল প্রচলিত একটি প্রটোকল হলো TCP/IP প্রটোকল। আসলে এটি কোনো সিঙ্গেল প্রোটোকল নয়, এতে আছে অনেকগুলি প্রটোকল। তাই এক বলা হয় TCP/IP প্রটোকল স্যুট। এর অর্থ হল ট্রান্সিমিশন কন্ট্রোল প্রটোকল/ইন্টারনেট প্রটোকল । ইন্টারনেটে মূলত এই প্রটোকলই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই TCP/IP তৈরি করা হয় আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স (DOD) এর আধিনে ARPANet এর অংশ হিসেবে। তখন OSI মডেল এর তৈরি হয়নি। TCP/IP মডেলকে বলা হয় DOD মডেল।

OSI রেফারেন্স মডেল এবং TCP/IP মডেল দুটি ওপেন স্ট্যান্ডার্ড নেটওয়ার্কিং মডেল এবং এই দুটি মডেল একই। তবে, বর্তমানে TCP/IP মডেল আরও বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে এবং TCP/IP প্রোটোকল স্যুট আরও বেশি ব্যবহৃত হয়। OSI রেফারেন্স মডেলের মত, TCP/IP মডেলও একটি কয়েকটি লেয়ারে বিভক্ত। এখানে আমরা TCP/IP মডেলের সমস্ত স্তর এবং সেইসব স্তরগুলিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রোটোকল সর্ম্পকে আলোচনা করব, ইনশাআল্লাহ। TCP/IP মডেলটি 4টি লেয়ার বা স্তর এর সমন্বয়ে গঠিত। TCP/IP মডেলটি নিম্নলিখিত 4টি স্তরের মধ্যে OSI রেফারেন্স মডেলের একটি সংক্ষিপ্ত সংস্করণ:

TCP/IP মডেলে লেয়ার সমুহ
  1. Application Layer
  2. Transport Layer
  3. Internet Layer
  4. Network access Layer
এই চারটি লেয়ার যে কাজ সম্পাদন করে তা OSI মডেলের সাতটি লেয়ারের কার্যকারিতার সাথে তুলনীয়। চিত্র-1 OSI Model ও TCP/IP Model এর স্তর গুলির মধ্যে তুলনা দেখানো হল।


TCP/IP এবং OSI মডেলগুলির মধ্যে তুলনা


নিন্মে TCP/IP Model এর স্তরগুলি সর্ম্পকে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

এপ্লিকেশন লেয়ার

TCP/IP মডেলের এপ্লিকেশন লেয়ারকে অনেক সময় প্রসেস লেয়ার ও বলা হয়। এই লেয়ারে বিভিন্ন এপ্লিকেশন লেভেল সার্ভিস, যেমন হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রোটকল (HTTP), সিম্পল মেইল ট্রান্সফার প্রটোকল (SMTP), ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকল (FTP), ইত্যাদি চলে। TCP/IP মডেলে Application Layer OSI মডেলের Application, Prasentation, Session Layer এই স্তর গুলির সমস্থ কাজ সম্পাদনা করে থাকে । এর মধ্যে Application Layer, Data Translation এবং Encoding, Dialog Control এবং সিস্টেমগুলির মধ্যে যোগাযোগের সমন্বয় করে থাকে ।

ট্রান্সপোর্ট লেয়ার

Transport Layer OSI model এর Transport Layer এর মতই একই কাজ সম্পদন করে থাকে । এই স্তরের কাজ হচ্ছে নির্ভুল ভাবে ডেটা প্যাকেট সরবরাহ করা । এছাড়া ডেটা প্যাকেটের নিয়ন্ত্রন , উপস্থিতি নিশ্চিত বা ডেটা ডুপ্লিকট রোধ করা ইত্যাদি কাজ এই স্তরে হয় । প্রেরিত ডেটা যদি অনুমদিত প্যাকেটের থেকে বড় হয়ে যায় তবে এটি ডেটাকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে দুই বা ততোধিক প্যাকেটে প্রেরন করে । এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ফ্রাগমেন্টেশন। রিসিভিং ডিভাইস ট্রান্সপোর্ট লেয়ারে আগত ডেটাগুলো একত্রিত করে, এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ডি- ফ্রাগমেন্টেশন এছাড়া ট্রান্সপোর্ট লেয়ার ডেটার গতিও নিয়ন্ত্রন করে । রিসিভিং ডিভাইসের গ্রহণ ক্ষমতার বাহিরে যদি ডেটা পাঠানো হয় তাহলে শুধুমাত্র রিসোর্স আর সময় নষ্ট হয় নেটওয়ার্ক স্তরের মত এখানেও  রাউটার, ব্রাউটার , গেটওয়ে ইত্যাদি ব্যবহার হয়

এই লেয়ারে ডাটা পৌছানোর জন্য TCP কানেকশন ওরিয়েন্টেড ট্রান্সমিশন ব্যবহার করে থাকে। কানেকশন ওরিয়েন্টেড এ ডাটা পাঠানোর আগে প্রেরক গ্রাহক এর সাথে একটি একুনলেজ সিগন্যাল এর মাধ্যাম কানেকশন তৈরি করে থাকে। যখন দুটি ডিভাইস এর মধ্যে একটি কানেকশন সেটআপ হয় তখন তাদের মধ্যে ডাটা ট্রান্সমিট হয়।

ইন্টারনেট লেয়ার

Internet Layer OSI mode এর Network Layer এর মতই একই কাজ সম্পাদনা করে থাকে । এই লেয়ারের কাজ হলো এড্রেসিং ও প্যাকেট ডেলিভারি। নেটওয়ার্ক স্তর ডেটা প্যাকেট রাউটিং এর সিদ্ধান্ত নেয় এবং সে ডেটা প্যাকেটকে তার টার্গেটের দিয়ে পাঠিয়ে দেয় । এই লেয়ারে ডাটা প্যাকেটে নেটওয়ার্ক এড্রেস যোগ করে এনক্যাপসুলেশনের মাধ্যমে। এই স্তরে যে সকল ডিভাইস ব্যবহার হয় সেগুলো হচ্ছে রাউটার, ব্রাউটার, গেটওয়ে ইত্যাদি।

নেটওয়ার্ক অ্যাকসেস লোয়ার

Network Access Layer OSI Mode এর Physical Layer এবং Datalink Layer এর কাজ সম্পাদনা করে থাকে এটি একটি হোস্টকে একটি নেটওয়ার্কের সাথে সরাসরি সংযুক্ত করতে এবং এটি Data সরবরাহ করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটোকল এবং হার্ডওয়্যার নির্ধারণ করে থাকে।

1 comment: