সাবনেটিং
একটি বড় নেটওয়ার্কে ছোট ছোট নেটওয়ার্কে বিভক্ত করাকে সাবনেটিং বলে। মনে করুন আমদের কাছে একটি নেটওয়ার্ক অ্যাড্রেস (172.16.0.0/16) আছে। আমরা চাইলে এই নেটওয়ার্ক অ্যাড্রেকে অনেকগুলো ছোট ছোট নেটওয়ার্ক এ ভাগ করতে পারি। কোন বড় নেটওয়ার্ককে এভাবে ছোট ছোট নেটওয়ার্ককে ভাগ করাকে বলা হয় সাবনেটিং।এক্ষেত্রে এই প্রবলেম টা সামাধান করার জন্য এখানে একটি নতুন নাম্বার ব্যবহার করা হয় আর তা হল 20/1, 20/2 এই রকম। যেখানে 20 থাকবেই। এভাবেই মূলত নতুন প্লট নাম্বার নির্ধরণ করা হয়ে থাকে।
ঠিক এমনই ঘটনা ঘটে সাবনেটিং এর ক্ষেত্রে। যেখানে আমাদের মূল নেটওয়ার্কটি ঠিক থাকে, কিন্তু আমরা অনেকগুলি অলাদা অলাদা নেটওয়ার্কে ভাগ করতে পারি। আর এই সাবনেটিং এর মূলে রয়েছে সাবনেট মাক্স। সাবনেট মাক্স এর সাহায্যেই এই সাবনেটিং করা হয়ে থাকে।
আমরা যারা Networking শিখতেছি বা যারা নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার হতে চাচ্ছি তাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে Subnetting। দক্ষ Network Engineer হতে হলে আমাদের অবশ্যই Subnetting / Subnet Mask / Network IP/ Block Size / Total usable IP / 1st usable IP / Last usable IP/ Broadcast IP এইসব সর্ম্পকে খুব ভাল ধারণা থাকতে হবে।
IPv4 এ প্রতিটি নেটওয়ার্কে তিনটি করে অ্যাড্রেস থাকে #Network Address #Broadcast Address #Host Address। নিচে এগুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারনা দেওয়া হল।
- Network Address : Network Address দ্বারা একটি নেটওয়ার্ককে বুঝানো হয়।
- Broadcast Address : Broadcast Address হলো একটি বিশেষ অ্যাড্রেস যা দ্বারা একটি নেটওয়ার্কের সকল Host এর সাথে কমিউনিকেট করা যায়। Broadcast Address হিসেবে Network Range এর শেষ অ্যাড্রেসটি ব্যবহৃত হয়।
- Host Address : আমি আগেই বলেছি, যদি কোন Host একটি নেটওয়ার্কে কমিউনিকেট করতে চায় তাহলে তার একটি স্বতন্ত্র অ্যাড্রেস থাকা প্রয়োজন। আর সেই অ্যাড্রেসটিকেই Host Address বলে। একটি Network Range এর Network Address ও Broadcast Address এর মধ্যবর্তী সকল অ্যাড্রেসসমূহকে Host Address হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
No comments:
Post a Comment