ইথারনেট নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে আমরা যে ক্যাবলটি সবচেয়ে বেশি পরিমানে ব্যবহার করে থাকি তা হল ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল। আমরা জানি ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলে এক সাথে কয়েক জোড়া ক্যাবল পাকানো অবস্থায় থাকে। এই ক্যাবলটি আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে, যথা:
স্ট্রেইট থ্রো ক্যাবলিং এর সময় কানেকটর এর দুই পাশে একই কালার কোড ব্যাবহার করা হয়। এক পাশের যত নং পিনে যে কালার ব্যবহার করা হয় অপর পাশের কানেকটরে তত নং পিনে ঐ একই কালার ব্যবহার করা হয়। আর ক্রস ওভার কানেকশন এর ক্ষেত্রে এক পাশের ১নং পিন এর সাথে অপর পাশের ৩নং পিন এবং ২নং পিন এর সাথে অপর পাশের ৬নং পিন এর সাথে এবং ৩নং পিন অপর পাশের ১নং পিন এর সাথে কানেকশন হবে।
ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল কানেকশন সেটআপ করার জন্য আমাদের যেসকল টুলস এর প্রয়োজন পরবে তা হল
- শিল্ডেড ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল (STP)
- আনশিল্ডেড ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল (UTP)
- White Orange
- Orange
- White Green
- Green
- White Orange
- Orange
- White Green
- Green
- White Blue
- Blue
- White Brown
- Brown
- স্ট্রেইট থ্রো (Straight Through)
- ক্রস ওভার ক্যাবলিং (Crossover)
- রোল ওভার (Rollover)
ক্রস ওভার ক্যাবলিং (Crossover)
সাধারণত পয়েন্ট টু পয়েন্ট কানেকশন এর ক্ষেত্রে যখন একই রকম ডিভাইস এ কানেকশন সেপআপ করা হয় তখন এই ধরনের কানেকশন ব্যবহার করা হয়। যেমন একটি পিসি থেকে আর একটি পিসিতে কানেকশন এর ক্ষেত্রে বা রাউটার থেকে রাউটার বা হাব থেকে হাব এর মধ্যে কানেকশন এর জন্য ক্রস ওভার ক্যাবলিং ব্যবহার করা হয়। একটি ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলের দুই পাশে দুটি কানেকটর ব্যাবহার করা হয়।তার একটি যদি আমরা “ক” এবং একটিকে “খ” ধরি তাহলে, কালারে কোড ব্যাবহার করে আমরা যেভাবে কানেকশন করে থাকি তা নিচে চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হল।এখন প্রশ্ন হল আমরা কিজন্য একই ডিভাইস এর জন্য ক্রস ক্যাবল ব্যবহার করব? আমরা যদি কম্পিউটার এর FastEthernet পোর্ট এর কাথা চিন্তা করি তাহলে দেখুন কি হয়।এখানে কানেক্টর এর 1 এবং 2 নং পয়েন্টটি ব্যবহার করা হয় TX বা ট্রান্সমিট এর জন্য এবং 3 ও 6 নং পয়েন্ট ব্যবহার করা হয় RX বা রিসিভ এর জন্য। যখন আমরা দুই দিকে একই কানেকশন ব্যবহার করব তখন একপাশের TX ঠিক অন্যপাশের TX এর সাথে যুক্ত হবে এবং অনুরুপ ভাবে RX অন্যপাশের RX এর সাথে যুক্ত হবে। ফলে এখানে কেউ ডাটা রিসিভ বা ট্রান্সমিট করতে পারবে না। কিন্তু যখন আমরা একপাশের TX কে অন্যপাশের RX এর সাথে যুক্ত করব তখন তারা ডাটা ট্রান্সমিট এবং রিসিব করতে পারবে।
স্ট্রেইট থ্রো (Straight Through)
একাধিক পিসিতে ডাটা শেয়ারিং করার জন্য বা আলাদা আলাদা ডিভাইসে কানেকশন সেটআপ করার জন্য সাধারণত স্ট্রেইট থ্রো ক্যবলিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যেমন পিসি টু হাব, হাব টু রাউটার, রাউটার টু সুইচ এই রকম আলাদা আলাদা ডিভাইস এর সাথে কানেকশন করার জন্য স্ট্রেইট থ্রো ক্যাবলিং ব্যবহার করা হয়।স্ট্রেইট থ্রো ক্যাবলিং এর জন্য যে কালার কোডিং ব্যবহার করা হয় তা নিন্মে চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হল। এখানেও একটি কানেকটরকে “ক” এবং একটি কানেকটরকে “খ” হিসেবে ধরেনিলাম।স্ট্রেইট থ্রো ক্যাবলিং এর সময় কানেকটর এর দুই পাশে একই কালার কোড ব্যাবহার করা হয়। এক পাশের যত নং পিনে যে কালার ব্যবহার করা হয় অপর পাশের কানেকটরে তত নং পিনে ঐ একই কালার ব্যবহার করা হয়। আর ক্রস ওভার কানেকশন এর ক্ষেত্রে এক পাশের ১নং পিন এর সাথে অপর পাশের ৩নং পিন এবং ২নং পিন এর সাথে অপর পাশের ৬নং পিন এর সাথে এবং ৩নং পিন অপর পাশের ১নং পিন এর সাথে কানেকশন হবে।
ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল কানেকশন সেটআপ করার জন্য আমাদের যেসকল টুলস এর প্রয়োজন পরবে তা হল
- Twisted Pair Cable
- RJ45 Connector
- Crimper Tools
- Cable Tester
No comments:
Post a Comment