Showing posts with label Networking. Show all posts
Showing posts with label Networking. Show all posts

Thursday, May 16, 2019

মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক যেভাবে কাজ করে

আজকে আমরা দেখব মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক কিভাবে কাজ করে।মোবাইল ফোন কিভাবে কাজ করে তার হিশেব নিকেশ অনেক বেশি এবং কিছুটা জটিল বটে তবে আমি আজকে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক কিভাবে কাজ করে তার একটা সহজ এলগরিদম ব্যাখ্যা করব।
                                               


মোবাইল নেটওয়ার্কে কয়েক ধরনের প্রযুক্তির মধ্যে (GSM,CDMA,TDMA,FDMA etc) আমাদের দেশে মুলত ২ই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার হয়-
  •  GSM (Global System for Mobile Communication) (যেমনঃ টেলিটক, বংলালিংক, জিপি, রবি, এয়ারটেল)
  • CDMA (Code Division Multiple Access) (সিটিসেল একমাত্র CDMA অ্পারেটর)
          (GSM এবং CDMA  কিভাবে কাজ করে তার জন্য পরবর্তীতে আরেকটি আর্টিকেল লিখব যেখানে ২ই প্রযুক্তির সুবিধা এবং অসুবিধা ব্যাখ্যা করব)

আমাদের দেশে ৬ টি মোবাইল অপারেটরের প্রায় ৩০ হাজার মোবাইল টাওয়ার আছে।এখন প্রশ্ন হতে পারে যে এত টাওয়ার কেন দরকার যেখানে রেডিও কিংবা টেলিভিশনের ক্ষেত্রে ২,৩ টা টাওয়ারই যথেষ্ট? তার উত্তর হচ্ছে প্রযুক্তিগত দিক থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক হচ্ছে ফুল ডুপ্লেক্স(অর্থাৎ একই সাথে দুই দিকে ব্রডকাস্ট)রেডিও কিংবা টেলিভিশন মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে ভিন্ন কারন রেডিও ,টিভি হচ্ছে সিমপ্লেক্স (একমুখী ব্রডকাস্ট) আর যার জন্য আমরা শুধু রেডিও তে আরজেদের বকবকানি শুনি বা টিভি তে অনুষ্ঠান দেখি। যদি মোবাইল সিমপ্লেক্স  ব্রডকাস্ট  হতো  তাইলে সবার কথা সবাই শুনে ফেলত এবং প্রচুর নয়েজ হত।

মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক এর আর্কিটেকচারটা শুরুতে একটু দেখে নেয়া যাকঃ

মোবাইল নেটওয়ার্কের  টাওয়ার সেট করার জন্য ষড়ভুজ আকৃতির ডায়াগ্রাম ব্যবহার করা হয়

                                   

মোবাইল নেটওয়ার্কে কোন দেশ বা এরিয়াকে হাজার হাজার সেলে বিভক্ত করা হয। প্রত্যেক সেলের জন্য বি.টি.এস থাকে। আবার বি.টি.এসকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য অনেক সময় অপারেটররা মাইক্রো বি.টি.এস ব্যবহার করে থাকে। বি.টি.এস কেবল এরিয়ার আয়তন হিসেবে বসানো হয়না। কোন স্থানে কতগুলো বি.টি.এস বসবে তা ওখানকার মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যার উপরও নির্ভর করে থাকে।

 BTS কোন সেল ফোন থেকে আগত রিকোয়েষ্টকে তাদের MSC-তে (মোবাইল সুইচিং সিস্টেম) পাঠায়।MSC-তে VLR (ভিজিটর লোকেটর রেজিষ্টার) থাকে। সেই VLR এ ইউসারের ইনফরমেশান থাকে। অর্থাৎ কোন VTS এর অধিনে কোন কোন ইউসার আছে। এটা টেম্পরারী থাকে।
যদি আপনি একই অপারেটরের অধিনস্ত মোবাইলে কল করে থাকেন তাহলে একই পদ্ধতিতে তা আবার রিসিভারের মোবাইলে যাবে। অর্থাৎ এইচ,এল.আর থেকে ভি.এল আর তারপর বি.টিএস এ এরপর সেলফোন এ যাবে।

যদি আপনি অন্য কোন অপারেটরের মোবাইলে কল করে থাকেন তাহলে HLR তাদের গেটওয়ের মাধ্যমে SS7 প্রোটোকল ইউস করে অন্য অপারেটরের HLR এ রিকোয়েষ্ট পাঠাবে।




















এর চাইতে একটু সহজ করে যদি দেখি তাহলে, আর্কিটেকচারটা নিচের মত দেখাবেঃ


আমরা যখন একটি সেল ফোন থেকে আরেকটি সেল ফোন থেকে কল করার চেষ্টা করি তখন সেল ফোন প্রথম BTS এ রিকোয়েষ্ট পাঠায়। বাংলাদেশে GSM এর ক্ষেত্রে তা ৯০০ থেকে ১৮০০ ফ্রিকুয়েন্সী রেঞ্জের ভিতর হয়ে থাকে। BTS এর কাজ হল ট্রান্সমিশান সেন্ড ও রিসিভ করা।

                                    মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক এর আর্কিটেকচার

Radio Access Network (RAN)

আমরা যখন কাউকে কল করি তখন তা আমাদের মোবাইল ফোন থেকে বাতাসের মধ্য দিয়ে সরাসরি নিকটস্থ কোন একটা BTS টাওয়ারে যায় আর  এই টাওয়ার বা BTS গুলোকে কন্ট্রোল করে BSC (Base Station Controller). এক একটা BSC প্রায় ১৫০-২০০ BTS কে কন্ট্রোল করতে পারে। আর এই BTS এবং BSC গুলো মিলেই গড়ে উঠে গোটা মোবাইল নেটওয়ার্ক এর সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক – Radio Access Network (RAN).

Switching Network OR Core Network:


যারা পূর্বের T&T (বর্তমান BTCL) এর এক্সচেঞ্জ (Telephone Exchange) এর সাথে পরিচিত আছেন, তারা জানেন যে, T&T তে কল করলে প্রথমে একজন অপারেটর কল ধরত এবং আপনার কাছে এক্সটেনশন নাম্বার জিজ্ঞেস করত। এবং সে আপনার কাংখিত এক্সটেনশন নাম্বার এ সংযোগ দিয়ে দিত। অর্থাৎ সুইচিংটা সে করে দিত।
এখন একটু ভাবুন তো, প্রতি দিন মোবাইল টু মোবাইল এ যে পরিমান কল হয়, তা যদি অপারেটর দিয়ে এক্সচেঞ্জ করতে হত, তাহলে কত কোটি অপারেটর লাগত???
মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক এ এই এক্সচেঞ্জ এর কাজটি করে দেয় Mobile Switching Center (MSC).

Intelligent Network:

এবার আসি Intelligent Network (IN) এ। আমাদের দুই ধরনের কানেকশন পাওয়া যায়
  • ক) প্রি-পেইড
  • খ) পোস্ট-পেইড
যারা প্রি-পেইড ইউজার তাদের মোবাইল এ balance/টাকা আছে কিনা, সে বৈধ ইউজার কিনা, সে যে Service টা ব্যবহার করতে চাচ্ছে তার জন্য Registration করা আছে কিনা এর সব জন্য সংরক্ষিত থাকে IN এ। আপনার কল সংযোগ দেয়ার আগেই এই সমস্ত খোঁজ খবর নিয়েই আপনাকে কল করার অনুমতি দেয়া হয়।

Transmission Network


Transmit করা মানে হচ্ছে কোন কিছু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানো। মোবাইল ফোন আমাদের কথা(Voice) অথবা Data (SMS/Internet/Multimedia Data) নিয়ে কাজ করে। আর আমাদের এই কথা (Voice) অথবা Data (SMS/Internet/Multimedia Data) স্থানান্তর অর্থাৎ যাকে কল করছেন তার কাছে পৌছে দেয়ার জন্য মাধ্যম হিসেবে কাজ করে Transmission Network।
  • ১। Radio Access Network (RAN)  মোবাইল ফোন সরাসরি এই নেটওয়ার্ক এর সাথে যোগাযোগ করে
  • ২। Switching Network বা Core Network  যাকে কল করছেন তার কাছে সুইচিং করে দেয় বা সংযোগ স্থাপন করে দেয়
  • ৩। Intelligent Network (IN) মোবাইল ইউজার এর সব তথ্য জমা রাখে এবং Verify করে
  • ৪। Transmission Network  তথ্য আদান প্রদান এর মাধ্যম হিসেবে কাজ করে.

Friday, April 26, 2019

স্ট্রেইট থ্রো এবং ক্রস ওভার ক্যাবলিং পদ্ধতি

ইথারনেট নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে আমরা যে ক্যাবলটি সবচেয়ে বেশি পরিমানে ব্যবহার করে থাকি তা হল ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল। আমরা জানি ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলে এক সাথে কয়েক জোড়া ক্যাবল পাকানো অবস্থায় থাকে। এই ক্যাবলটি আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে, যথা:
  • শিল্ডেড ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল (STP)
  • আনশিল্ডেড ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল (UTP)
এর আগে আমরা ক্যাবল এর প্রকারভেদ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি, এখানে আমরা দেখব ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল কত ধরনের কানেকশন রয়েছে এবং এই কানেকশন সমুহ কিভাবে সেটআপ করতে হয় তাই জানার চেষ্টা করব।তার আগে এই ক্যাবলের কালার কোডিং সর্ম্পকে একটু ধারণা নেওয়া যাক। ট্যুইস্টেড পেয়ার সাধারণত ২ পেয়ার বা ৪ পেয়ার হয়ে থাকে। ২ পেয়ার এর ক্ষেত্রে চারটি কালার ব্যবহার করা হয় আর তা হল:
  • White Orange
  • Orange
  • White Green
  • Green
এবং যখন ৮ পেয়ার ক্যাবল ব্যবহার করা হয় তখন এতে মোট ৮টি ক্যাবল থাকে এবং এই ৮টি ক্যাবল এর জন্য ৮টি কালার রয়েছে আর তা হল:
  • White Orange
  • Orange
  • White Green
  • Green
  • White Blue
  • Blue
  • White Brown
  • Brown
ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলে এই কালার কোডিং ব্যাবহার করে ক্যাবলিং করা হয়। ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলিং এর জন্য সাধারণত RJ45 কানেকটর ব্যবহার করা হয় এবং তিন ধরনের ক্যাবলিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যথা:
  • স্ট্রেইট থ্রো (Straight Through)
  • ক্রস ওভার ক্যাবলিং (Crossover)
  • রোল ওভার (Rollover)

ক্রস ওভার ক্যাবলিং (Crossover)

সাধারণত পয়েন্ট টু পয়েন্ট কানেকশন এর ক্ষেত্রে যখন একই রকম ডিভাইস এ কানেকশন সেপআপ করা হয় তখন এই ধরনের কানেকশন ব্যবহার করা হয়। যেমন একটি পিসি থেকে আর একটি পিসিতে কানেকশন এর ক্ষেত্রে বা রাউটার থেকে রাউটার বা হাব থেকে হাব এর মধ্যে কানেকশন এর জন্য ক্রস ওভার ক্যাবলিং ব্যবহার করা হয়। একটি ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলের দুই পাশে দুটি কানেকটর ব্যাবহার করা হয়।তার একটি যদি আমরা “ক” এবং একটিকে “খ” ধরি তাহলে, কালারে কোড ব্যাবহার করে আমরা যেভাবে কানেকশন করে থাকি তা নিচে চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হল।
এখন প্রশ্ন হল আমরা কিজন্য একই ডিভাইস এর জন্য ক্রস ক্যাবল ব্যবহার করব? আমরা যদি কম্পিউটার এর FastEthernet পোর্ট এর কাথা চিন্তা করি তাহলে দেখুন কি হয়।এখানে কানেক্টর এর 1 এবং 2 নং পয়েন্টটি ব্যবহার করা হয় TX বা ট্রান্সমিট এর জন্য এবং 3 ও 6 নং পয়েন্ট ব্যবহার করা হয় RX বা রিসিভ এর জন্য। যখন আমরা দুই দিকে একই কানেকশন ব্যবহার করব তখন একপাশের TX ঠিক অন্যপাশের TX এর সাথে যুক্ত হবে এবং অনুরুপ ভাবে RX অন্যপাশের RX এর সাথে যুক্ত হবে। ফলে এখানে কেউ ডাটা রিসিভ বা ট্রান্সমিট করতে পারবে না। কিন্তু যখন আমরা একপাশের TX কে অন্যপাশের RX এর সাথে যুক্ত করব তখন তারা ডাটা ট্রান্সমিট এবং রিসিব করতে পারবে।

স্ট্রেইট থ্রো (Straight Through)

একাধিক পিসিতে ডাটা শেয়ারিং করার জন্য বা আলাদা আলাদা ডিভাইসে কানেকশন সেটআপ করার জন্য সাধারণত স্ট্রেইট থ্রো ক্যবলিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যেমন পিসি টু হাব, হাব টু রাউটার, রাউটার টু সুইচ এই রকম আলাদা আলাদা ডিভাইস এর সাথে কানেকশন করার জন্য স্ট্রেইট থ্রো ক্যাবলিং ব্যবহার করা হয়।স্ট্রেইট থ্রো ক্যাবলিং এর জন্য যে কালার কোডিং ব্যবহার করা হয় তা নিন্মে চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হল। এখানেও একটি কানেকটরকে “ক” এবং একটি কানেকটরকে “খ” হিসেবে ধরেনিলাম।

স্ট্রেইট থ্রো ক্যাবলিং এর সময় কানেকটর এর দুই পাশে একই কালার কোড ব্যাবহার করা হয়। এক পাশের যত নং পিনে যে কালার ব্যবহার করা হয় অপর পাশের কানেকটরে তত নং পিনে ঐ একই কালার ব্যবহার করা হয়। আর ক্রস ওভার কানেকশন এর ক্ষেত্রে এক পাশের ১নং পিন এর সাথে অপর পাশের ৩নং পিন এবং ২নং পিন এর সাথে অপর পাশের ৬নং পিন এর সাথে এবং ৩নং পিন অপর পাশের ১নং পিন এর সাথে কানেকশন হবে।

ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল কানেকশন সেটআপ করার জন্য আমাদের যেসকল টুলস এর প্রয়োজন পরবে তা হল
  • Twisted Pair Cable
  • RJ45 Connector
  • Crimper Tools
  • Cable Tester

রোল ওভার (Rollover)

রোল ওভার কানেকশন তেমন ব্যাবহার করা হয় না। সাধারণত রাউটারের কনসোল পোর্ট এর জন্য রোল ওভার ক্যাবল ব্যবহার করা হয়।নিচে চিত্রের সাহায্য এই ক্যাবল পদ্ধতি দেখানো হল

Straight-through and Crossover Connection

Sunday, March 3, 2019

নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত বিভিন্ন ক্যবল/মিডিয়া সর্ম্পকে জানুন

নেটওয়ার্ক মিডিয়া (Network Media)

নেটওয়ার্কে এক কম্পিউটার থেকে আর এক কম্পিউটারে ডাটা পাঠানোর জন্য কোন না কোন মাধ্যম এর প্রয়োজন হয় । যে মাধ্যমে নেটওয়ার্কের ডিভাইস সমুহ পরস্পর এর সাথে যুক্ত থাকে তাকে বলা হয় নেটওয়ার্ক মিডিয়া বা মাধ্যম । এই মিডিয়ার মাধ্যমে নেটওয়ার্কে ডাটাপ্রবাহিত হয় এবং নেটওয়ার্কের পারফরমেন্স অনেকটা এর উপর নির্ভর করে ।

নেটওয়ার্ক মিডিয়াকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায় । যথা…
  • ওয়্যার মিডিয়া (Wire Media)
  • ওয়্যারলেস মিডিয়া (Wireless Media)
ওয়্যার মিডিয়াকে আবার কয়োক ভাগে ভাগ করা যায় । এগুলি হল...
  • ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল (Twisted Pair Cable)
  • কোএক্সিয়াল ক্যাবল  (Coaxial cable)
  • ফাইবার অপটিক ক্যাবল (Fiber optic cable)
ওয়্যারলেস মিডিয়াকে ও কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়, যথা……
  • রেডিও ওয়েভ (Radio Wave)
  • মাইক্রোওয়েভ (Microwave)
  • ইনফ্রারেড (In-fared)
নিন্মে এই নেটওয়ার্ক মিডিয়াগুলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা করা হল ।

ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল : (Twisted Pair Cable)

ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল এ একসাথে কয়েক জোড়া ক্যাবল পাকানো অবস্থায় থাকে, যার মধ্যদিয়ে ডাটা সিগন্যাল প্রবাহিত হয় । এই ধরনের ক্যাবল সাধারণত টেলিকম্যুনিকেশন এর জন্য ব্যবহার করা হয় । ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল এ কালার কোডিং ব্যবহার করা হয় । প্রতিটি তার ইনসুলেশন দ্বারা আচ্ছাদন কার থাকে । এসব আচ্ছাদন কার তারকে ট্যুইস্ট করা বা পাকানো হয়, এবং পাকানো সবগুলি তারকে একসাথে নিয়ে একটি প্লাস্টিক এর জাকেট দ্বারা মোরানো থাকে । যাতে তার গুলি সুরক্ষিত থাকে । এই ধরনের ক্যাবল এর জন্য সাধারণত RJ45 Connector ব্যবহার করা হয় ।
এই ক্যাবলকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয় । যথা...
  1. শিল্ডেড ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল (Shielded Twisted Pair)
  2. আনশিল্ডেড ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল (Unshielded Twisted Pair Cable)

শিল্ডেড ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল (STP)

শিল্ডেড ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলে প্রতিটি  ট্যুইস্ট জোড়া থাকে অর্থাৎ প্রতিটি ট্যুইস্ট এ দুটি ক্যাবল একসাথে পাকানো থাকে এবং এই প্রতিটি ট্যুইস্ট আবার একটি শিল্ড বা শক্ত আবরণ দ্বার আচ্ছাদন কারা থাকে । এই প্রতিটি ট্যুইস্ট কে আবার একটি প্লস্টিক এর জাকেট এর মাধ্যমে আচ্ছাদন কারা থাকে। এই ধরনের ক্যাবলে Electromagnetic interference বা EMI ইফেক্ট এর শিকার হয় না বললেই চলে । এই ধরণের ক্যাবল এর মাধ্যমে সাধারণত 100 মিটার পর্যন্ত কোন রিপিটার ব্যবহার করা ছাড়াই ডাটা ট্রান্সমিট করা যায় । এর ডাটা ট্রান্সফার স্পিড সাধারণত 16 থেকে 500 Mbps পর্যন্ত হতে পারে । সাধারণত লোকল এরিয়া নেটওয়ার্কে এই ধরনের ক্যাবল ব্যবাহার করা হয় ।


আনশিল্ডেড ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল (UTP)

আনশিল্ডেড ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল  এ প্রতিটি  ট্যুইস্ট জোড়া থাকে কিন্ত প্রতিটি ট্যুইস্ট এ কোন প্রকার শিল্ডিং করা থাকে না । শুধু মাত্র সবকটি ট্যুইস্টকে নিয়ে একসাথে প্লাস্টিক এর কভার দ্বারা অচ্ছাদন করা থাকে । এই ক্যাবল সাধারণত লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা হয়। এধরনের ক্যাবল এর দাম সাধারণত খুব কম হয়ে থাকে । এবং এর ইন্সটলেশন খরচ খুব কম । তাই লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কে এই ধরনের ক্যাবল প্রচুর পরিমানে ব্যবহার করা হয় ।
আনশিল্ডেড ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল কে আবার কয়েকটি  ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে এবং এই প্রত্যেকটি  ক্যাটগরির কিছু আলাদা আলাদা  বৈশিষ্ট রয়েছে । ক্যাটাগরি গুলি হল যথা…
  • Category 1 (Cat1)
  • Category 2 (Cat2)
  • Category 3 (Cat3)
  • Category 4 (Cat4)
  • Category 5 (Cat5)
  • Category 5e (Cat5e)
  • Category 6 (Cat6)
  • Category 6a (Cat6a)
  • Category 7 (Cat7)

কোএক্সিয়াল ক্যাবল  (Coaxial cable)

এই ধরনের ক্যাবল সাধারণত মাঝখানে একটি তামার তার , তার উপর দিয়ে একটি ফোম ইন্সুলেশন এবং তার উপর ইন্সুলেশনকে ঘিরে আর একটি পরিবাহি তামার তার দ্বারা মোড়োনো থাকে এবং সর্বশেষ এই সমস্থকিছুকে একটি প্লাস্টিক জাকেট দ্বারা মোড়ানো থাকে ।  ইথারনেট লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কে এই ধরনের ক্যাবল ব্যবহার কার হয় । এই ধরনের ক্যবলকে কানেকশন দেওয়ার জন্য BNC Connector ব্যবহার করা হয় ।

ফাইবার অপটিক ক্যাবল (Fiber optic cable)

ফাইবার অপটিক (Fiber optic) একধরনেরপাতলা, স্বচ্ছ তন্তু বিশেষ। এটি সাধারণত সিলিকা, কাচঁ অথবা প্লাস্টিক দিয়ে বানানো, যা আলো পরিবহনে ব্যবহৃতহয়। এই তন্তুর মধ্যদিয়ে যে আলো প্রবাহিত হয়, এই আলোর মাধ্যমে ডাটা প্রবাহিত হয় । এর মধ্য আলোর পূর্ণআভ্যন্তরীন পতিফলন এর মাধ্যমে ডাটা একস্থান হতে অন্য স্থানে প্রবাহিত হয়ে থাকে । ফাইবার অপটিক ক্যাবলসাধারণত প্রায় সকল প্রকার সাইড ইফেক্ট থেকে মুক্ত । অর্থাৎ কোন কিছুই এর সিগন্যালকে প্রভাবিত করতে পাবেনা । যে তন্তুর মধ্যেদিয়ে ডাটা প্রবাহিত হয় তাকে বলা হয় কোর । একটি ক্যাবল এর ভিতর অনেক কোর থাকতেপারে । একটি মাল্টিমোড কোর এর ডায়ামিটার হলো 125 মাইক্রোন (125µ) যা মানুষের দুটি চুলের সমানমোটা । এর প্রধান সুবিধা হল এতে অনেক উচ্চগতি পাওয়া যায় । বর্তমানে এতে 100 mbps থেকে 2 Gbps পর্যন্ত স্পিড পাওয়া যায় ।

রেডিও ওয়েভ (Radio Wave)

রেডিওতে যেভাবে সিগন্যাল ট্রান্সমিট করা হয় ঠিক সেই ভাবে নেটওয়ার্কেও ডাটা ট্রান্সমিট করা হয় রেডিও ট্রান্সমিশন এর মাধ্যমে । এক্ষেত্রে প্রতিটি কম্পিউটারকে একই ফ্রিকোয়েন্সিতি থাকতে হবে ।
রেডিও ওয়েভের ফ্রিকোয়েন্সি 10 কিলোহার্টজ থেকে 1 গিগাহর্টিজ পর্য়ন্ত হয়ে থাকে । এর মধ্যকার ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামকে বলা হয় রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি। এই সকল রিডিও ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ন্ত্রিত । আমি ইচ্ছা করলেই যেকোন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করতে পারব না। তার জন্য সরকারি অনুমোদন থাকতে হবে । কোন নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সিতে সিগনাল ট্রান্সমিট কারা জন্য সরকার থেকে লাইসেন্স নিতে হবে । কম্পিউটার নেটওয়ার্কি এর জন্য তিন ধররের রেডিও ট্রান্সমিশন ব্যবহার কার হয় ।

  • লো-পাওয়ার, সিঙ্গল  ফ্রিকোয়েন্সি
  • হাই-পাওয়ার, সিঙ্গল  ফ্রিকোয়েন্সি
  • স্প্রেড স্পেকট্রাম।

মাইক্রোওয়েভ (Microwave)

ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামের গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে মাইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিশন । এসব ফ্রিকোয়েন্সি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি এর চেয়ে অনেক বেশি হয় । এর ফলে এর গতি ও পারফরমেন্স অনেক বেশি হয় । মাইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিশনে অনেক বেশি ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার কার হয় । এই ফ্রিকোয়েন্সি সাধারণত 4 থেকে 6 গিগাহার্টজ এবং 21 থেকে 23 গিগাহার্টজ পর্যন্ত হতে পারে । মাইক্রোওয়েভ সিস্টেম মূলত দুটো ট্রান্সসিভার নিয়ে গঠিত। এর একটি সিগন্যাল ট্রান্সমিট এবং অন্যটি রিসিভ করার কাজে ব্যবহৃত হয়। মাইক্রোওয়েভের এন্টিনা বড়  কোনো  ভবন বা টাওয়ারের উপর বসানো হয় যাতে সিগন্যাল বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে  এবং পথে কোনো বস্তু প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে। মাইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিশন সাধারণত দুই ধরনের হতে পারে যথা ..
  • টেরেস্ট্রিয়াল মাইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিশন
  • স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিশন 

টেরেস্ট্রিয়াল মাইক্রোওয়েভ

এই ধরণের প্রযুক্তিতে ভূপৃষ্টেই ট্রান্সমিটার ও রিসিভার বসানো হয়। ট্রান্সমিটার ও রিসিভার দৃষ্টি রেখায় যোগাযোগ করে। কোনো বাধা না থাকলে ১ থেকে ৫০ মাইল পযর্ন্ত ডেটা চলাচল করতে পারে।

স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ

এক্ষেত্রে সিগনাল পাঠানোর জন্য ভূ-পৃষ্ঠে থাকে স্যাটেলাইট এন্টেনা এবং শূণ্যে থাকে স্যাটেলাইট। মহাশুণ্যে অবস্থিত স্যাটেলাইট ও ভু-পৃষ্ঠের ডিশ এন্টনার মধ্যে সিগনাল আদান প্রদান করার মাধ্যমে কমিউনিকেশন সিস্টেম গড়ে ওঠে।

ইনফ্রারেড (Infared)

আমরা প্রায় সকলে রিমোট এর সাথে পরিচিত । এই রিমোটে সিগন্যল পরিবহন হয় ইনফ্রারেড পদ্ধতিতে । এইফ্রারেড মূলত আলোর মাধ্যমে সিগন্যাল ট্রান্সমিট হয় । কম্পউটার নেটওয়ার্কিং এর জন্য সাধারনত এই ধরনের টেকনোলজি ব্যবহার করা হয় না । সিমপ্লেক্স ট্রান্সমিশন এর ক্ষেত্রে এর গতি 16 mbps আর ডু্প্লেক্স ট্রান্সমিশন এর ক্ষেত্রে 1 mbps গতি হতে পারে । এই ধরনের সিগন্যাল সর্বোচ্চ 30 মিটার পর্যন্ত যেতে পারে । মাঝখানে কোন বাধা থাকলে তা ভেদ করে যেতে পারে না । এই ধরনের ট্রান্সমিশন দু ধরনের হতে পারে , যথা..
  1. পয়েন্ট টু পয়েন্ট ইনফ্রারেড
  2. ব্রডকাস্ট ইনফ্রারেড

হটস্পট( Hotspot)

হটস্পট হচ্ছে এক ধরনের ওয়্যারলেস নেটয়ার্ক। হটস্পট তৈরির জন্য জনপ্রিয় তিনটি প্রযুক্তি-
  1. ব্লু-টুথ ( Bluetooth )
  2. ওয়াই-ফাই ( Wi-Fi )
  3. ওয়াইম্যাক্স ( WiMAX )

ব্লু-টুথ (Bluetooth)

ব্লুটুথ হচ্ছে একটি ওয়্যারলেস প্রযুক্তি যার মাধ্যমে একটি ওয়্যারলেস পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (WPAN)  সৃষ্টি করা যায়। এর দূরত্ব সাধারণত ১০ থেকে ১০০ মিটার হয়ে থাকে। বিভিন্ন ডিভাইসে USB পোর্টের মাধ্যমে  ব্লুটুথ সংযোগ দেয়া হয়। ১৯৯৪ সালে টেলিকম ভেন্ডর এরিকসন ব্লুটুথ উদ্ভাবন করে। দশম শতাব্দির ডেনমার্কের রাজা হারাল্ড ব্লুটুথ এর নামানুসারে এ প্রযুক্তিটির নাম রাখা হয়েছে  ব্লুটুথ। এর ডেটা ট্রান্সফার রেট প্রায় ১ মেগাবিট/সেকেন্ড বা তারচেয়ে বেশি।

ব্লুটুথের বৈশিষ্ট্য –
  • স্বল্প দূরত্বে দুটি ডিভাইসের মধ্যে ডেটা স্থানান্তরে ব্লুটুথ রেডিও ওয়েভ ব্যবহার করে।
  • ব্লুটুথ ২.৪ গিগাহার্টজ (GHz) ফ্রিকুয়েন্সিতে কাজ করে।
  • ১০-১০০ মিটারের মধ্যে অবস্থানকারী ডিভাইসের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে।
  • ব্লুটুথ একটি পিকোনেট এর আওতায় সর্বোচ্চ ৮টি যন্ত্রের সাথে সিগন্যাল আদান-প্রদান করতে পারে।
  • এটি IEEE 802.15.1 স্ট্যান্ডার্ডের ওয়্যারলেস পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (WPAN)
 ব্লুটুথের  ব্যবহার-
  • ফোনের সাথে হ্যান্ডস ফ্রি হেডসেটের সংযোগ সাউন্ড বা ভয়েস ডেটা স্থানান্তরে ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়।
  • ফোন থেকে কম্পিউটারে ফাইল স্থানান্তরে এ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়।
  • ব্লুটুথ ব্যবহার করে কম্পিউটারের সাথে অন্যান্য ডিভাইসের সংযোগ ঘটানো যায় এবং তথ্য আদান-প্রদান করা যায়।
  • পিসির ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইসগুলোর সাথে তারবিহীন যোগাযোগে ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়।
  • জিপিএস রিসিভার, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, বারকোড স্ক্যানার ও ট্রাফিক কন্ট্রোল ডিভাইসগুলোতে ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়
  • ডেডিকেটেড টেলিহেলথ ডিভাইসগুলোতে হেলথ সেন্সর ডেটাগুলোর শর্ট রেঞ্জ ট্রান্সমিশনে ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়।
  • প্রায়ই ইনফ্রারেড ব্যবহৃত হয় এমন স্থানে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়।

ওয়াই-ফাই(Wi-Fi)

Wi-Fi শব্দটি Wireless Fidelity শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। ওয়াই-ফাই হলো জনপ্রিয় একটি তারবিহীন নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি যা বেতার তরঙ্গকে ব্যবহার করে থাকে। এটি ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (WLAN)  এর IEEE(Institute of Electrical & Electronics Engineers) 802.11 প্রণীত স্ট্যান্ডার্ড। এর এরিয়া একটি কক্ষ, একটি ভবন কিংবা সাধারণত ইনডোরের ক্ষেত্রে এ দূরত্ব ৩২ মিটার এবং আউটডোরের ক্ষেত্রে ৯৫ মিটারের মতো এলাকা জুড়ে হতে পারে।  ওয়াই-ফাই  এনাবল্ড কোনো ডিভাইস যেমন-  একটি পার্সোনাল কম্পিউটার, ভিডিও গেম কনসোল, স্মার্টফোন কিংবা ডিজিটাল অডিও প্লেয়ার প্রভৃতি একটি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক অ্যাকসেস পয়েন্টের মাধ্যমে  ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হতে পারে।

ওয়াই-ফাই এর বৈশিষ্ট্য-

  • এটি IEEE 802.11 স্ট্যান্ডার্ডের ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (WLAN)
  • Wi-Fi প্রযুক্তি ব্যবহার করে একই সাথে একাধিক কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া যায়।
  • ওয়াই-ফাই এর কভারেজ সীমিত পরিসর থেকে নিয়ে বিস্তৃত পরিসরে পাওয়া সম্ভব।
  • Wi-Fi প্রযুক্তির সাহায্যে ইন্টারনেট অ্যাকসেস করা যায়।

ওয়াই-ফাই এর সুবিধা-

  • Wi-Fi প্রযুক্তি ব্যবহার করে একই সাথে একাধিক কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া যায়।
  • নেটওয়ার্কের জন্য কোনো লাইসেন্স বা কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না।
  • নেটওয়ার্ক সহজে নতুন ব্যবহারকারী যুক্ত করে নেটওয়ার্কের পরিধি বাড়ানো যায়।
  • ওয়াই-ফাই লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের তুলনায় তুলনামূলকভাবে সস্তা এবং খুব সহজেই ব্যবহার করা যায়।

ওয়াই-ফাই এর অসুবিধা-

  • Wi-Fi নেটওয়ার্কের সীমানা নির্দিষ্ট এলাকা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে।
  • নেটওয়ার্কের দক্ষতা ও গতি তুলনামূলকভাবে কম।
  • বিদ্যুৎ খরচ অন্যান্য স্ট্যান্ডার্ডের তুলনায় বেশি।
  • অন্যান্য ডিভাইস কর্তৃক সিগন্যালে জ্যাম বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে।
  • ডেটা ও নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা ঝুঁকি থেকে যায়।
  • দূরত্ব বেশি হলে নেটওয়ার্কের গতি ও সিগন্যালের গুণগত মান উল্লেখযোগ্যহারে কমে যেতে পারে।
  • অজ্ঞাত বা অনুমোদিত ব্যক্তি কর্তৃক অ্যাক্সেস পয়েন্ট ব্যবহারের ঝুঁকি থাকে।

ওয়াইম্যাক্স(WiMAX)

WiMAX  এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Worldwide Interoperability for Microwave Access। ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে উচ্চ  গতির ব্রডব্যান্ড সেবা, তারবিহীন ব্যবস্থায় বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ইন্টারনেট অ্যাকসেস করার সুযোগ পাওয়া যায়।১৯৯৮ সালে IEEE 802.16, ওয়্যারলেস মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (WMAN)  এর জন্য মানটি আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এ প্রটোকলের ডেটা ট্রান্সমিশন রেট ৭০ মেগাবিট/ সেকেন্ড। WiMAX এর প্রধান দুটি অংশ রয়েছে। একটি হচ্ছে WiMAX এর বেস স্টেশন যা ইনডোর ও আউটডোর টাওয়ার নিয়ে গঠিত। অন্যটি হচ্ছে এন্টিনাসহ WiMAX রিসিভার, যা কোনো কম্পিউটার বা ল্যাপটপে সংযুক্ত থাকে। একটি WiMAX বেস স্টেশন সাধারণত ১০ কিমি হতে শুরু করে ৬০ কিমি পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট অ্যাক্সেস সুবিধা দিয়ে থাকে।

ওয়াইম্যাক্স এর সুবিধা-

  • কভারেজ এরিয়া সাধারণত ১০ কিমি হতে শুরু করে ৬০ কিমি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • একক একটি স্টেশনের মাধ্যমে হাজার হাজার ব্যবহারকারীকে ইন্টারনেট সেবা দেয়া যায়।
  • ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড লাইসেন্স বা লাইসেন্সবিহীন উভয়ই হতে পারে।
  • প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সেবা পাওয়া যায়; এমনকি যেখানে ফোনের সংযোগ পৌঁছেনি সেখানেও।
  • কোয়ালিটি অব সার্ভিসের নিশ্চয়তা দেয়।
  • তথ্য ও টেলিযোগাযোগ সেবাগুলো প্রদান করা যায়।
  • এন্টিনাসহ WiMAX রিসিভার, যা কোনো কম্পিউটার বা ল্যাপটপে সংযুক্ত থাকে।

 ওয়াইম্যাক্স এর অসুবিধা-

  • দূরত্ব বেশি হলে একাধিক বেজ স্টেশনের প্রয়োজন হয়।
  • নেটওয়ার্কের অন্যান্য ওয়্যারলেস ডিভাইস সিগন্যালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।
  • সংস্থাপন এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেশি।
  • অনেক ব্যবহারকারী একই টাওয়ার অ্যাক্সেস করায় সার্ভিসের সঠিক গুণগত মান বজায় রাখা অনেকক্ষেত্রে কঠিন।
  • অন্যান্য নেটওয়ার্ক যেমন- ফাইবার অপটিক, স্যাটেলাইট, ক্যাবল ইত্যাদির সাথে তুলনা করলে ওয়াইম্যাক্স এর ডেটা রেট অত্যন্ত ধীরগতির।
  • খারাপ আবহাওয়া যেমন বৃষ্টির কারণে এর সিগন্যালে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
  • বেশি বিদ্যুৎশক্তি ব্যবহারকারী প্রযুক্তি যার ফলে সার্বিক নেটওয়ার্ক চালানোর জন্য পর্যাপ্ত বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হয়।

Saturday, February 9, 2019

ইথারনেট কি ? ইথারনেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আজকের দিনে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বেশি ব্যবহৃত নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি হল ইথারনেট। আপনি যদি কোনো নেটওয়ার্ক দেখে থাকেন তাহলে সেটি ইথারনেট নেটওয়ার্ক হওয়ার সম্ভাবনা 99%। প্রথম 1960 সালে হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হয় ALOHA নেটওয়ার্ক যা CSMA/CD একসেস মেথড ব্যবহার করে। এটিকেই বলা যেতে পারে প্রথম ইথারনেট এরপর বিভিন্ন সময় এর পরিবর্তন হয়েছে।
1972 সালে জেরেক্স পার্ক (Xerox PARC) এর রবার্ট মেটাকাফ এবং ডেভিড বফস এই ক্যাবলিং ও সিগন্যালিং স্খিম বাস্তবায়ন করেন, 1975 সালে তারা প্রথম ইথারনেট প্রোডাক্ট প্রবর্তন করেন। এই ইথারনেট নেটওয়ার্ক 100 টিরও বেশি কম্পিউটার নিয়ে এক কিলোমিটার জুড়ে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারত যার গতি ছিল 3 MBPS.
Ethernet

ডিজিটাল ইকুইপমেন্ট কর্পোরেশন, ইন্টেল এবং জেরক্স এর যেীথ প্রচেষ্টায় এই নেটওয়ার্ককে উন্নত করে এর গতি 10 Mbps করে। এটির উপর ভিত্তি করেই গড়ে ওঠে IEEE 802.3 স্ট্যান্ডার্ড। 1990 সালে IEEE 802.3 স্ট্যান্ডার্ডে ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ব্যবহার করে ইথারনেট গড়ার নিয়ম সম্পর্কে বলে।

ইথারনেটে ডাটা পাঠানোর পদ্ধতি

মিডিয় অ্যাকসেস করার জন্য Ehternet ক্যারিয়ার সেন্স মাল্টিপল একসেস/করিশন ডিটেকশন একসেস মেথড CSMA/CD ব্যবহার করে থাকে। এই মেথডে একসাথে কেবলমাত্র একটি কম্পিউটার মিডিয়ায় সিগনাল পাঠাতে পারে। কোন কম্পিউটার সিগনাল পাঠাতে চাইলে সে আগে দেখে য়ে মিডিয়ায় অন্য কোন সিগন্যাল বর্তমান আছে কিনা। যদি কোন সিগনাল আগে থেকেই প্রবাহিত হয় তাহলে সেই ট্রান্সমিশন সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সে অপেক্ষা করতে থাকে। তার সিগন্যাল পাঠানো শেষ হলেই সেই কম্পিউটার সিগন্যাল পাঠাবে। এভাবে একটির পর একটি কম্পিউটার মিডিয়ায় সিগন্যাল পাঠাতে পারে।

ইথারনেটের প্রকারভেদ

ইথারনেট নেটওয়ার্ক এর গতির উপর ভিত্তি করে ৩ ভাগে ভাগ করা হয় । 10Mbps ইথারনেট, 100Mbps ইথারনেট এবং 1Gbps ইথারনেট।

ইথারনেট ফ্রেম

আমরা জানি নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস লেয়ার দ্বারা এনক্যাপুলেটেড ডেটাকে ইথারনেট ফ্রেম বলা হয় । একটি ইথারনেট ফ্রেম একটি হেডার দিয়ে শুরু হয়, যা অন্যান্য ডেটা সহ উৎস এবং গন্তব্য MAC Address ধারণ করে। এই ফ্রেমের মধ্যবর্তী অংশ হলো প্রকৃত তথ্য বা ডাটা। যে তথ্যটি দ্বরা এই ফ্রেমটি সমাপ্ত হয় তাকে বলা হয় Frame Check Sequence (FCS).

ইথারনেট ফ্রেম কিভাবে গঠিত হবে তা IEEE 802.3 স্ট্যান্ডার্ডে সংজ্ঞায়িত করা হয়। এখানে একটি ইথারনেট ফ্রেমের গ্রাফিকাল উপস্থাপনা এবং ফ্রেমের প্রতিটি অংশের একটি বর্ণনা করা হল:


Preamble: ইথারনেট ফ্রেম 7-বাইট প্রোম্যাবল দিয়ে শুরু হয়। এটি বিকল্প 0 এবং 1 এর প্যাটার্ন যা ফ্রেমের শুরু নির্দেশ করে এবং প্রেরক এবং রিসিভারকে বিট সিঙ্ক্রোনাইজেশন করার অনুমতি দেয়।

Start of frame delimiter (SFD): এটি একটি 1-বাইট ক্ষেত্র যা সর্বদা 10101011 এ সেট করা হয়। SFD নির্দেশ করে যে আসন্ন বিট ফ্রেম শুরু করছে, যা গন্তব্য ঠিকানা। কখনও কখনও এসএফডিটিকে PRE (Preamble) – এর অংশ বলে মনে করা হয়, এই কারণে প্রিম্যামকে অনেক জায়গায় 8 বাইট হিসাবে বর্ণনা করা হয়।

Destination MAC: এটি 6-বাইট ব্লক যা মেশিনের MAC ঠিকানা ধারণ করে যার জন্য ডেটা নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ ডেস্টিনেশন এর ম্যাক অ্যাড্রেস ধারণ করে।

Source Address: এটি একটি 6-বাইট ব্লক যা সোর্স মেশিনের MAC Address ধারণ করে। Source Address সবসময় একটি পৃথক Address হবে।

Type: দৈর্ঘ্য একটি 2-বাইট ব্লক, যা ইথারনেট ফ্রেমের দৈর্ঘ্য নির্দেশ করে। এই 16 বিট ক্ষেত্রটি 0 থেকে 65534 এর দৈর্ঘ্য মান ধরে রাখতে পারে, কিন্তু ইথারনেটের নিজস্ব সীমাবদ্ধতাগুলির কারণে দৈর্ঘ্য 1500 এর চেয়ে বড় হতে পারে না।

Data: এটি সেই ব্লক যেখানে প্রকৃত ডাটা সন্নিবেশ করা হয়, যা Payload হিসাবে পরিচিত। আইপি হেডার এবং তথ্য উভয় এখানে ঢোকানো হবে, যদি ইন্টারনেট প্রোটোকল ইথারনেট ব্যবহার করা হয়। সর্বাধিক তথ্য 1500 বাইট হতে পারে। যদি ডাটার দৈর্ঘ্য সর্বনিম্ন দৈর্ঘ্য যেমন 46 বাইটের কম হয় ন্যূনতম সম্ভাব্য দৈর্ঘ্য পূরণ করতে প্যাডিং 0 যোগ করা হয়।

FCS (Frame Check Sequence): এটি একটি 4 বাইট ব্লক। এই ব্লকে 32-বিট হ্যাশ কোড রয়েছে, যা দূষিত ডেটা সনাক্ত করার অনুমতি দেয়।
Note: IEEE 802.3 তে ইথারনেট ফ্রেমের আকার 64 বাইট থেকে 1518 বাইট এর মধ্যে হয় যা ডাটার দৈর্ঘ্য (46 থেকে 1500 বাইট) সহ।

Friday, January 18, 2019

বিভিন্ন প্রকার নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জানুন [LAN, MAN, WAN]

লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (Local Area Network)

লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (Local Area Network), একে সংক্ষেপে বলা হয় ল্যান (LAN) বলা হয় । একই বিল্ডিং এর মাঝে অবস্থিত কয়েকটি কম্পিউটার নিয়ে গঠিত নেটওয়ার্ককে বলা হয় লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক । এই ধরনের নেটওয়ার্কের গঠন খুব সহজ, এর্ং এর জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস সমুহের দাম খুব কম । এই ধরনের নেটওযার্কে ব্যবহৃত ডিভাইস সমুহ হল হাব, সুইচ, রিপিটার ।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক সবচেয়ে বেশী ব্যবহার করে থাকি। ছোট-মাঝারি অফিস-আদালত ও ব্যবসা-বাণিজ্যে এ ধরনের নেটওয়ার্ক ব্যবহৃত হয়। এর মূল উদ্দেশ্য থাকে ডিভাইসসমূহের পরস্পরের মধ্যে তথ্য এবং রিসোর্স শেয়ার করা। তবে সাধারন ভাবে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বলতে এটা বলা যায় যে কিছু কম্পিউটার তারের মাধ্যমে সংযুক্ত করে একটা নেটওয়ার্ক তৈরি করা, যেখানে সংযুক্ত কম্পিউতার গুলোর ভেতর তারের মাধ্যমে ডাটা আদান-প্রদান সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যেতে পারে।
সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু ল্যান প্রযুক্তির কিছু হল ইথারনেট, টোকেন রিং এবং FDDI। বেশীরভাগ ল্যান নেটওয়ার্কগুলো যোগাযোগ করতে TCP/IP Protocol ব্যবহার করে । একটি ল্যান নেটওয়ার্কে সাধারণত Twisted-Pair Cable ব্যবহার করা হয় ।
মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (Metropolitan Area Network):
মেট্রোপলিটান এরিয়া নেটওয়ার্ক (Metropolitan Area Network) । একে সংক্ষেপে বলা হয় ম্যান (MAN) বলা হয় । একই শহরের মধ্যে অবস্থিত কয়েকটি ল্যানের সমন্বয়ে গঠিত ইন্টারফেসকে বলা হয় মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (MAN) । এ ধরনের নেটওয়ার্ক ৫০-৭৫ মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। এই নেটওয়ার্কর ডাটা ট্রান্সফার স্পিড গিগাবিট পার সেকেন্ড। এ ধরনের নেটওয়ার্ক এ ব্যবহিত ডিভাইস গুলো হলো রাউটার, সুইজ, মাইক্রোওয়েভ এন্টেনা ইত্যাদি।

ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক থেকে এর পার্থক্য হলো এই যে, ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্কে গতি কম থাকে, কিন্তু মেট্রোপলিটান এরিয়া নেটওয়ার্কে আমরা বেশ উচ্চগতি পেতে পারি। এটি বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন অফিসকে যুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। মেট্রোপলিটান এরিয়া নেটওয়ার্ক ৫০-৭০ মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।

মেট্রোপলিটান এরিয়া নেটওয়ার্ক এর বৈশিষ্ট্যসমূহ :

  • মেট্রোপলিটান এরিয়া নেটওয়ার্কে যুক্ত বিভিন্ন সাইট একই শহরে অথবা এর আশেপাশের শহরে বিস্তৃত থাকে।
  • মেট্রোপলিটান এরিয়া নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেগাবিট পার সেকেন্ড (Mbps), এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে গিগাবিট পার সেকেন্ড (Gbps) স্পীড পাওয়া যেতে পারে।
  • এর মাধ্যমে একাধিক ল্যানের মধ্যে একটি সংযোগ গড়ে ওঠে।
  • এ ধরনের নেটওয়ার্ক বিভিন্ন ডিভাইস যেমন – রাউটার, টেলিফোন, এটিএম সুইচ এবং মাইক্রোওয়েভ এন্টেনা ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকে।

ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (Wide Area Network):

ওয়াইড এরিয় নেটওয়ার্ক (Wide Area Network), একে সংক্ষেপে ওয়্যান (WAN) বলা হয়। দূরবর্তী ল্যানসমূকে নিয়ে গড়ে উঠা নেটওয়ার্ককে বলা হয় ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক বা WAN। ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক সাধারণ ধীরগতির হয়ে থাকে।
সাধারণত দুটি ভিন্ন ভিন্ন দেশের মধ্যে এই ধরনের নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে। এ ধরনের নেটওয়ার্ক এর ডাটা ট্রান্সফার স্পীড ৫৬ কেবিপিএস থেকে ১.৫৪৪ এমবিপিএস। এ ধরনের নেটওয়ার্কের গঠন বেশ জটিল এবং সাধারণত বিশাল ভৌগলিক এলাকা নিয়ে বিস্তৃত। এ ধরনের নেটওয়ার্কে ব্যবহিত ডিভাইসগুলো হলো রাউটার, মডেম, ওয়্যান সুইচ ইত্যাদি

ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক এর বৈশিষ্ট্যসমূহ:

  • এসব নেটওয়ার্ক বিশাল এলাকা জুড়ে গড়ে উঠতে পারে, এমনকি এর বিস্তৃতি গোটা বিশ্বজুড়ে হতে পারে।
  • ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক ল্যানের চেয়ে সাধারণত ধীর গতির হয়ে থাকে।
  • ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্কে অবশ্যই কোনো ইন্টারনেটওয়ার্কিং ডিভাইস যেমন – রাউটার, মডেম, ওয়্যান সুইচ ইত্যাদি ব্যবহার করতে হয়।

প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (Private Network):

আইপি অ্যাড্রেসিং আর্কিটেকচারে অনুসারে ঐ সকল নেটওয়ার্ককে প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বলা হয় যেখানে প্রাইভেট আইপি অ্যাড্রেস স্পেস ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক গঠন করা হয়। IPv4 এবং IPv6 specifications প্রাইভেট আইপি রেঞ্জ নির্ধারণ করে । আবাসিক এবং অফিসে সাধারণত লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ককে এই সকল রেঞ্জ এর আইপি অ্যড্রেস ব্যবহার করা হয়। এই নেটওয়ার্ককে চাইলেই যে কেউ অ্যক্সেস করতে পারে না ।

পাবলিক নেটওয়ার্ক (Public Network):

পাবলিক নেটওয়ার্ক হল একটি সার্বজনিন নেটওয়ার্ক । যে কেউ এই নেটওয়ার্ক অ্যকসেস করতে পারে । এ সকল নেটওয়ার্ক IPv4 এবং IPv6 specifications এর পাবলিক আইপি অ্যড্যেস দ্বারা গঠিত করা হয়। যার ফলে ইন্টারনেটে সংযুক্ত যে কেউ এই নেটওয়ার্ক অ্যক্সেস করতে পারে। এ সকল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার জন্য কিছূ নিয়ম নীতি নির্ধারণ করা থাকে । তবে যেহেতু এটি একটি সর্বজনিন নেটওয়ার্ক তাই এখানে ব্যবহারকারির তথ্যের নিরাপত্তার ঝুকি থাকে ।

সার্কিট সুইচ নেটওয়ার্ক (Circuit switched Network):

সার্কিট স্যুইচিং একটি টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক বাস্তবায়নের একটি পদ্ধতি যা দুটি ডিভাইস এর যোগাযোগের আগে দুটি নেটওয়ার্ক এর হোস্ট সমুহের মধ্যে একটি ডেডিকেটেড কমিউনিকেশন চ্যানেল (সার্কিট) স্থাপন করে। সার্কিট স্যুইচিংয়ে, প্রকৃত ডাটা ট্রান্সমিশন শুরু হওয়ার আগে পথ নির্ধারণ করে । সার্কিট-সুইচড নেটওয়ার্কের ডিফারেন্সিং উদাহরণ হল প্রাথমিক এনালগ টেলিফোন নেটওয়ার্ক।

ম্যাসেজ সুইচ নেটওয়ার্ক (Message Switched Network) :

ম্যাসেজ সুইচিং হচ্ছে একটি নেটওয়ার্ক সুইচ টেকনিক, ডাটাটি সম্পূর্ণরূপে সোর্স হোস্ট থেকে গন্তব্য হোস্ট এর দিকে সংরক্ষিত হয়। ডাটা রাউটিংয়ের সময় নেটওয়ার্কে প্রতিটি ইন্টারমিডিয়েট সুইচ পুরো ডাটাটিকে সংরক্ষণ করে। ডাটা পাঠানোর জন্য যদি পুরো নেটওয়ার্কটি যদি কার্যকর না হয় বা নেটওয়ার্কটি বন্ধ হয়ে যায়, ম্যাসেজ-সুইচ নেটওয়ার্ক ডাটা স্টোর করে এবং ডাটা কার্যকর করার জন্য যে কোন ধরনের মাধ্যম সুপ্রাপ্য না হওয়া পর্যন্ত এই ডাটা প্রেরণ করতে বিলম্ব করে।

প্যাকেট সুইচ নেটওয়ার্ক (Packet Switch Network):

একটি প্যাকেট সুইচড নেটওয়ার্ক এমন এক ধরনের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যা ডাটাকে ছোট ছোট প্যাকেট আকারে টান্সমিট করে। প্রত্যেকটি ডাটার সাথে সোর্স এবং ডেস্টিনেশন এর অ্যড্রেস ধারণ করে থাকে। প্যাকেট সুইচড নেটওয়ার্ককে প্রতিটি ডাটাকে ছোট ছোট প্যাকেট আকারে ভাগ করে  এবং  প্যাকেটটিতে গন্তব্যের তথ্য ধারণকারী একটি শিরোনাম দেওয়া হয়। প্রত্যেকটি প্যাকেটটি এই শিরোনাম ব্যবহার করে গন্তব্যস্থলের নেটওয়ার্কে প্রেরিত হয়। গন্তব্যস্থলে প্রাপ্ত পাকেটগুলি থেকে ডেটা একত্রিত করে মুল ডাটাতে রুপান্তরিত করে।

পয়েন্ট টু পয়েন্ট নেটওয়ার্ক (Point to Point Network):

পয়েন্টে টু পয়েন্ট নেটওয়ার্ক হল এমন একটি নেটওয়ার্কিং সিস্টেম যাতে দুটি কম্পিউটার বা হোস্ট একে অপরের সাতে ডাইরেক্টলি কানেকটেড থাকে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট নেটওয়ার্ক এর একটি উত্তম উদাহরণ হল দুটি ফোন এর মধ্যে কথোপকথোন । এখানে দুটি মোবাইল পয়েন্ট টু পয়েন্ট কানেকশনে থাকে।

ব্রডকাষ্ট বা মাল্টিপয়েন্ট নেটওয়ার্ক (Broadcast or Multipoint Network):

ব্রডকাস্ট বা মাল্টিকাস্ট নেটওয়ার্ক হল এমন একটি সিস্টেম যাতে একটি কম্পিউটার বা হোস্ট একসাথে অনেকগুলি কম্পিউটার বা হোস্ট এর সাথে কানেকটেড থাকে। কোন কম্পিউটার ডাটা শেয়ার করলে তা নেটওয়ার্কেক এর অনেক গুলি কম্পিউটার তা গ্রহন করতে পারে। আশাকরি, আপনাদের নেটওয়ার্ক এর প্রকারভেদ সর্ম্পকে অনেক ভাল ধারণা পেয়েছেন।