Showing posts with label Internet. Show all posts
Showing posts with label Internet. Show all posts

Friday, April 19, 2019

VPN কি? যে জন্য ভিপিএন ব্যবহার করবেন

VPN কি

VPN হল ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক। VPN এর মাধ্যমে আপনি একটা ভার্চুয়াল লোকেশন ব্যবহার করে বিশ্বের যে কোন ওয়েব সাইট ব্রাউজ করতে পারেন। কি জনাব বিষয়টা বুঝলেন না? তাহলে পড়তে থাকুন এই পোস্টের বাকি অংশটুকু। কোন এক জায়গায় বিষয়টা ক্লিয়ার করে বোঝানো হয়েছে। দেখুন তো খুঁজে পান কি না?


আজকের পোস্টে আমি আপনাদের বলব ভিপিএন ব্যবহার করার যে ৫টি কারণ আপনার অনেক আগেই জানা উচিত ছিল ও কম্পিউটার সিকিউরিটি নিয়ে। ইতোপূর্বে অনেকে হয়ত ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) নামের এই টুলটি ইন্টারনেট ও সিকিউরিটি এর জন্য ব্যবহার করে থাকবেন। এমন অনেক পরিস্থিতি পড়ে যায় যখন আপনার ভিপিএন ব্যবহার করাটা জরুরি হয়ে পড়ে। আপনাদের আজকে সেই ৫টি অস্থির সিচুয়েশন এর ব্যাপারে বলব যখন কি না ভিপিএন ব্যবহার করা উত্তম বলে আমি মনে করি। নারে ভাই, শুধু আমি না, বাঁকি সবাই ই মনে করেন।

আইপি ট্র্যাকিং প্রতিরোধ:

সবচেয়ে বড় কার্যকরী উপকারিতা হল VPN আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ প্রাইভেসি দেবে। যখন আপনি কোন ভিপিএন এর সাথে কানেক্টেড থাকবেন তখন ওয়েব সাইট গুলো  আপনার আসল আইপি এড্রেস দেখতে পাবে না। তারা শুধু ভিপিএন এর আইপি এড্রেস দেখতে পারবে। যেহেতু অনেকেই এই সার্ভার ব্যবহার করে থাকে সেহেতু আপনাকে আলাদা ভাবে খুঁজে পাওয়া একটু কঠিনই বটে। সার্চ ইঞ্জিন ও অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলো আপনার কাজগুলো ট্র্যাক করতে পারবে না। আপনি যদি কোন স্কুল বা অফিসের নেটওয়ার্কও ব্যবহার করেন তবুও তারা আপনার ওপর নজর রাখতে পারবে না।

পাবলিক WiFi ব্যবহারে VPN:

আরেকটি পরিস্থিতে ভিপিএন ব্যবহারের জন্য আমি অবশ্যই বলব আর সেটি হল পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারে। ওপেন পাবলিক ওয়াইফাই হটস্পট হল সেই হটস্পট যেটাতে ওয়াইফাই কানেক্ট করার জন্য কোন পাসওয়ার্ড চাওয়া হয় না। এমনকি এটি আপনার ডিভাইস ও হটস্পটে ডাটা আদান প্রদানে কোন রকম বাঁধা দেয় না। তার মানে আপনার তথ্য হ্যাকও হতে পারে যদি ফ্রি ওয়াইফাই জোন ব্যববহার করেন। আপনি যদি ফ্রি ওয়াইফাই জোনে যদি নিরাপদ থাকতে চান তাহলে আপনার জন্য অবশ্যই ভিপিএন ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।
যতক্ষণ না আপনি https প্রটোকল যুক্ত ওয়েব সাইট ব্যবহার না করছেন ততক্ষণ আপনি অনেকটা হুমকির মাঝেই থাকবেন ফ্রি ওয়াই জোনে। আর এর মাধ্যমে আপনি আপনার অজান্তেই সকলকে অনুমতিও দিচ্ছেন আপনার তথ্য গুলো জানার জন্য। কিন্তু যখন আপনি একটি ভিপিএন এর সাথে যুক্ত হবেন তখন প্রত্যেকবার কম্পিউটারর থেকে ডাটা যাওয়ার সময় ভিপিএন দ্বারা সেটি ইনক্রিপ্ট করা হবে। তাই ভিপিএন ব্যবহার করলে এটা আপনার মাথা ব্যাথার প্রশ্ন হবে না যে সেটা ওপেন পাবলিক ওয়াইফাই নাকি না! কারণ কানেকশনটি সুরক্ষিত আছে। শুধু কম্পিউটার না চাইলে আপনি আপনার স্মার্টফোনেও ভিপিএন ব্যবহার করতে পারবেন।

বাইপাস স্কুল/অফিস ওয়েব ফিল্টার:

আপনার ভিপিএন আপনাকে স্কুল অথবা অফিস সমূহের ওয়েব ফিল্টার বাইপাস করতে সাহায্য করবে। আমি আপনাকে আপনার সময় অপচয় করতে বলছি না এর জন্য। কিন্তু ভেবে দেখুন, যখন আপনি কোন ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে যাবেন তখন যদি সেটা ব্লক করা দেখতে পান, কেমন লাগবে ? ব্যাপারটা খুব বেশি ভালো লাগার কথা না। ধরুন আপনার পিসিতে ইউটিউব ওয়েব সাইট ব্লক করা আছে। কিন্তু ইউটিউবে একটি গুরুত্বপূর্ণ টিউটোরিয়াল আপনার দেখা প্রয়োজন। সে সময় যদি সাইট ভিজিট করতে গিয়ে দেখতে পান যে সাইটটি ব্লক তখন কি করবেন? খুব বেশি কিছু করতে হবে না, আপনি আপনার ভিপিএন কানেক্ট করুন তারপর ব্রাউজ করুন দেখবেন খুব সহজেই আপনি ইউটিউব সাইটে চলে গিয়েছেন। 

আইএসপি থ্রোটলিং অ্যাড়াতে:

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) থেকে যদি আপনি থ্রোটলিং হতে থাকেন তবে আপনার অবশ্যই ভিপিএন প্রয়োজন।  সকল আইএসপি এমন না করলেও কিছু কিছু আইএসপি আপনার ইন্টারনেট জগতকে ছোট করে দেয়। আপনি যখন ভিপিএন ব্যবহার করবেন তখন আপনার আইএসপি আপনাকে থ্রোট করতে পারবে না। মানে বিষয়টা হল আপনাকে যে কোম্পানি ইন্টারনেট কানেকশন দিয়েছে তারা অনেক ওয়েব সাইট ব্লক করে রাখে। সাধারণত আপনি ঐসকল ওয়েব সাইট ভিজিট করতে পারেন না। কিন্তু চাইলেই ভিপিএন কানেক্ট করে আরামসে সব কিছু ভিজিট করতে পারবেন।  আর এভাবে আপনার ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ভালো হবে আশা করা যায়।

বিভিন্ন দেশের ব্লক ওয়েব সাইট ভিজিট:

অনেক সময় এক দেশের ওয়েব সাইট অন্য দেশে ব্লক থাকে। ধরুন আপনি এখন বাংলাদেশে আছেন কিন্তু বাংলা আমেরিকার একটি সাইট ব্লক করা আছে। এখন যদি আপনি উক্ত সাইট ভিজিট করতে চান তাহলে আপনাকে আমেরিকা যেতে হবে। কিন্তু আপনি যদি ভিপিএন ব্যবহারকারী হল তাহলে বাংলাদেশে বসেই আমেরিকার ভার্চুয়াল লোকেশন ব্যবহার করে ঐ সাইটটি ভিজিট করতে পারেন। আবার আমাদের দেশে মাঝে মাঝে ফেসবুক ব্লক করে দেয়া হয়। সেক্ষেত্রে আপনি ভিপিএন এর মাধ্যমে আমেরিকা গিয়ে ফেসবুক চালাতে পারবেন বাংলাদেশে বসে থেকেই। কি মজা তাই না?

সব থেকে ভালো ভিপিএন:

আপনি যদি গুগল এ সার্চ দিয়ে দেখেন তাহলে অনেক ভিপিএন এর নাম দেখতে পাবেন। তবে এসকল ভিপিএন এর মাঝে আমি Hotspot Sheild (ক্রোম এক্সটেনশন) কিংবা NordVPN  (ক্রোম এক্সটেনশন) ব্যবহারের পরামর্শ দেব। নর্ডভিপিএন এর কিছু অত্যাধুনিক ফিচার আছে। তাহছাড়া এদের অপশন গুলো অনেকটা ফ্রেন্ডলি হওয়ায় এটা ব্যবহার বা অপারেট করতে খুব বেশি সমস্যা হয় না। এদের মাঝে ডাবল ভিপিএন সার্ভার আছে যেটা আমার অনেকটা ভালোও লেগেছে। এটা ব্যবহার করা অনেক সহজও। তাছাড়া এই ভিপিএন কম্পিউটারের পাশাপাশি স্মার্টফোনেও ব্যবহার করা যায়। স্মার্টফোনের ভিপিএন এর অপশনগুলোও অনেকটা কম্পিউটার ভিপিএন এর মতোই।
সর্বোপরি সচেতন হয়ে নেট ব্রাউজ করুন। হ্যাকারদের থেকে সাবধান থাকুন আর ভিপিএন ব্যবহার করে নিজের সিকিউরিটি নিশ্চিত করুন।

Wednesday, March 27, 2019

ডার্ক ওয়েভ কি ? Dark Web সর্ম্পকে বিস্তারিত জানুন

আজকের বিঙ্গানের জগতে আমরা ইন্টারনেট ছাড়া এক মুহূর্তও কল্পনা  করতে পারি না। এটি আধুনিক বিশ্বের জন্য একটি  আশীর্বাদ। বিশ্বের বৃহত্তম এই নেটওয়ার্কের শক্তির যাত্রা শুরু হয় 1989 সালে, ইংরেজ বিজ্ঞানী টিম বার্নার্স-লি এর হতে। যে সময় থেকে, এটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব নামে পরিচিত। এটি সংক্ষিপ্ত রুপে WWW নামে পরিচিত।

ডার্ক ওয়েভ কিঃ 

ইন্টারনেট একটি বিশাল নেটওয়ার্ক সিস্টেম। এখানে প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে তথ্য আদান প্রদান হয়ে থাকে । আমরা সাধারন ব্যবহারকারি ইন্টারনেটের সাধারণ সামগ্রি অ্যক্সেস করি, যা ইন্টানেটের পূর্ণ সংকরণ না। আমরা সাধারণ ব্যবহারকারি যে সকল বিষয় ইন্টারনেটে অ্যক্সেস করি বা করতে পারি তার চেয়ে প্রচুর পরিমান বিষয় আমরা অ্যক্সেক করতে পারি না । অর্থ্যৎ তা সাধারণ ব্যবহারকারির কাছ থেকে লুকানো থাকে । এই লুকানো অংশকে বলা হয় ডার্ক ওয়েভ । ডার্ক ওয়েব একটি ধরনের ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কন্টেন্ট যা আসলে অন্ধকারে লুকানো বা অন্ধকারে বিদ্যমান।

ডার্ক ওয়েব মধ্যে কিভাবে তথ্য লুকানো থাকে?

প্রত্যেক সার্চ ইঞ্জিন বিভিন্ন সাইট থেকে ডকুমেন্ট এবং তথ্য খুঁজে বের করে এবং তা সার্চ ইঞ্জিন এর ডাটাবেজ এ সংরক্ষন করে রাখে । আমরা যখন কোন তথ্য সার্চ করি তখন সার্চ  ইঞ্জিন  আমাদের সামনে সেই তথ্য গুলি পেশ করে থাকে। কিন্তু  সার্চ ইঞ্জিনগুলি ডার্ক ওয়েব এ সংরক্ষণ করা  কোন ডাটা বা তথ্য সংরক্ষণ করে রাখে না। কারণ এই অংশে সাধারন সার্চ ইঞ্জিন প্রবেশ করতে পারে না  ইচ্ছাকৃত ভাবে সার্চ ইঞ্জিনের ইনডেক্স অপশন থেকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। ইন্টানেটে যত পরিমান কন্টেন্ট রয়েছে তার 4% আমরা দেখতে পারি আর 96% আমাদের সামনে লুকানো থাকে।

সাধারণত ডার্ক ওয়েভ Google Chrome, Fire Fox বা এই লেভেলের  সাধারণ ব্রাউজার দিয়ে ব্রাউজ করা যায় না, বরং স্পেশাল ব্রাউজার প্রয়োজন হয় । তবে, কিছু এক্সটেনশন এবং ভিপিএন ব্যবহার করার মাধ্যমে নরমাল ব্রাউজার দিয়েও ব্যবহার করা সম্ভব । কেন ব্রাউজ করা যায় না, এটাও আসলে খুব কঠিন কিছু না । ডার্ক ওয়েবের জন্য যারা ওয়েবসাইট খোলে, তারা সাইটগুলো রেজিস্ট্রেশন করে ‘ .onion ’ এবং এই ধরণের কিছু এক্সটেনশনের ব্যবহার করে (আমরা যেমন ব্যবহার করি .com, .net, .org, …….) এবং এই এক্সটেনশন সমৃদ্ধ সাইটগুলো ক্রোম বা এই ধরনের সাধারণ ব্রাউজারগুলো এলাও করে না । ফলে এসব সাইটে স্বাভাবিকভাবে প্রবেশ করা যায় না ।

ডার্ক ওয়েব এর উদ্দেশ্যঃ

বাস্তবিক ভাবে ডার্ক ওয়েবের মূল উদ্দেশ্য ইতিবাচক নয়। এটি ডার্কনেট মার্কেটপ্লেসের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই বাজারে অপরাধী এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনের জন্য এত জনপ্রিয়। তারা ডার্ক ওয়েবকে অন্য সন্ত্রাসী বা ফৌজদারী গোষ্ঠীর সাথে পৃথিবীর বিভিন্ন অবস্থানের মাধ্যমে ইন্টারনেটে যোগাযোগ করতে ব্যবহার করে।

ডার্ক ওয়েব এর সবচেয়ে সফল বেনামী বাজার হল সিল্ক রোড। এটি প্রথম সফল বেনামী বাজার স্থান। এটি ২011 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বিটকয়েন ব্যবহারের সাথে অবৈধ পণ্য (বন্দুক, ড্রাগস) কিনতে এবং বিক্রি করার জন্য অপরাধীকে Amazon / Ebay মত একটি অনলাইন বিক্রির প্ল্যাটফর্ম। একটি বিটকয়েন একটি ডিজিটাল মুদ্রা ।

ডার্ক ওয়েভ এ অ্যাক্সেস ঃ 

সাধারণত ডার্ক ওয়েভ Google Chrome, Fire Fox বা এই লেভেলের  সাধারণ ব্রাউজার দিয়ে ব্রাউজ করা যায় না, বরং স্পেশাল ব্রাউজার প্রয়োজন হয় । তবে, কিছু এক্সটেনশন এবং ভিপিএন ব্যবহার করার মাধ্যমে নরমাল ব্রাউজার দিয়েও ব্যবহার করা সম্ভব । বিভিন্ন ধরনের সফ্টওয়্যার ডার্ক ওয়েব এ প্রবেশ করতে পারে। সর্বাধিক জনপ্রিয় সফটওয়্যারটি হল টর। আপনারা এই লিংক এ ক্লিক করে টর ব্রাউজার ডাউনলোড করে নিতে পারেন ।

সতর্কতা ঃ

ডার্ক ওয়েব এ ব্রাউজিং করার সময় আপনাকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।  আপনি যখন ডার্ক ওয়েব এ ব্রাউজিং করবেন তখন আপনাকে  নজরদারি করা হবে এবং পাশাপাশি, এটি আপনার ওয়েবক্যামের অ্যাকসেস নিয়ে নিতে পারে এই জন্য এর  উপর দিয়ে ক্যামারা ঢেকে  দেওয়া উচিৎ।

Friday, February 22, 2019

Bitcoin কি? Bitcoin কিভাবে কাজ করে?

বিটকয়েন ইন্টারনেটের একটি ভার্চুয়াল মুদ্রা, যা বহু বছর ধরে বিদ্যমান। বিটকয়েন সম্পর্কে অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে। Bitcoin কোথা থেকে আসে? Bitcoin কি বেআইনি? আমি কিভাবে বিটকয়েন পেতে পারি? বিটকয়েন কি ক্যাশে রূপান্তর করা যায়? আজ এই বিষয় গুলি সম্পর্কে আলোচনা করব। তো চলুন, শুরু করা যাক।

Bitcoin কি?

Bitcoin ইলেকট্রনিক মুদ্রা বা ক্রিপ্টকারেন্সি নামে পরিচিত। বিটকয়েন ডিজিটাল মুদ্রার একটি রূপ। বিটকয়েন জটিল গাণিতিক গণনা দ্বারা তৈরি যা লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের দ্বারা সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয় । এই পরিচালকদের মাইনর (miners) বলে। এই মুদ্রার উপর দেশের সরকারের কোন নিয়ন্ত্রন থাকে না। তাই হ্যাকার ও ডার্কওয়েবে সেলারদের কাছে এটি খুবই জনপ্রিয়। বিটকয়েন বেআইনি না। কোন দেশে এখনও বিটকয়েন নিষিদ্ধ করা হয় নি। কিন্তু এটি ব্যবহারে সামান্য ঝুকি রয়েছে। বিটকয়েন লেনদেনের জন্য গ্রাহক ও গ্রহিতা উভয় কে ৩য় পক্ষের উপর আস্থা রাখতে হয়। মাইনরাই এখানে ৩য় পক্ষ হিসেবে কাজ করে।

Bitcoin এর উৎপত্তিঃ

প্রকৃতপক্ষে Bitcoin কে আবিষ্কার করেছে তা এখনও জানা সম্ভব হয় নি। ২০০৮ সালের অক্টোবর মাসে একব্যক্তি সাতোশি নাকামোতো (Satoshi Nakamoto) ছদ্মনাম ব্যবহার করে একটি গবেষণার ফলাফল ইন্টারনেটে প্রকাশ করে। গবেষণার শিরোনাম ছিল “Bitcoin: A Peer-to-Peer Electronic Cash System”। এই গবেষণায় তিনি ধারনা দেন কিভাবে কোন ব্যাংক বা মধ্যস্ত প্রতিষ্ঠানের সাহায্য ছাড়াই পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে লেনদেন করা যাবে। এই পদ্ধতিটি পেয়ার টু পেয়ার অর্থ্যৎ এক ব্যবহারকারী থেকে অন্য ব্যবহারকারীর কাছে টাকা সরাসরি পাঠানো সম্ভব তার ব্যাখ্যা করে।

তার এই গবেষণার হাত ধরেই ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে প্রথম বিটকয়েন বাজারে আশে। সাতোশি নাকামোতো প্রথম বিটকয়েন মাইনিং এর জন্য সফটওয়্যার তৈরী করেন। তার এই ছদ্মনাম অনুসারে বিটকয়েনের এককের নাম নির্ধারন করা হয় সাতোশি। ১০,০০,০০,০০০ (দশ কোটি) সাতোশি সমান ১ বিটকয়েন।

Bitcoin কি ভাবে কাজ করে?

বিটকয়েন সম্পূর্ণ ভার্চুয়াল একটি মুদ্রা। এটি নিজেই নিজের মূল্য সংরক্ষন করতে পারে, ব্যাংক বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন পরে না বিটকয়েন সংরক্ষন করার জন্য। বিটকয়েন স্বর্ণের মত আচরন করে। এটি স্বর্ণের মতই নিজের মূল্য হ্রাস বৃদ্ধি করে এবং ইচ্ছাতম সময়ে বিনিময় করা যায়। বিটকয়েন সঞ্চয় করে ভবিষ্যতে মূল্য বৃদ্ধি হলে তা বিক্রয় করে অনেক অর্থ আয় করা সম্ভব। কিন্তু সব সময় বিটকয়েনের মূল্য বৃদ্ধি হয় না, মাঝে মাঝেই বিটকয়েনের মূল্য হ্রাসও পায়।

বিটকয়েন ব্লক চেইনের (Blockchain) মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ব্লক চেইন খুবই সাধারন একটি খতিয়ান। প্রতিটি ব্যবহারকারী ও তার ব্যক্তিগত বিটকয়েন ওয়ালেটের জন্য ব্লকচেইন ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। লেনদেনের প্রামাণস্বরূপ সমস্ত বিটকয়েন ট্রানজেকশন একটি পাবলিক খতিয়ানে লিপিবদ্ধ হয়। এই প্রক্রিয়াটি বিটকয়েন জালিয়াতি থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। বিটকয়েন ডিজিটাল ওয়ালেটে ওয়ালেটের নাম অনুসারে লিপিবদ্ধ হয়, ব্যক্তিগত নামে লিপিবদ্ধ হয় না। তার মানে হল বিটকয়েন ট্রানজেকশন সম্পূর্ণ পরিচয় গোপন করে (Anonymously) করা সম্ভব। যদিও অন্য কেউ আপনার ব্যক্তিগত পরিচয় সহজে দেখতে পাবে না কিন্তু তারা আপনার বিটকয়েন ওয়ালেটের ট্রানজেকশন হিস্ট্রি দেখতে পারবে।

কোন বিটকয়েন ওয়ালেটে বিটকয়েন পাঠানো হলে তা মডারেসনের জন্য পেন্ডিং থাকে। কোন একজন মাইনর লেনদেন টি এপ্রুভ না করলে বিট কয়েন অপর প্রান্তের ওয়ালেটে পৌছাবে না। এই মডারেসনের জন্য মাইনরকে কিছু সাতোশি পরিশোধ করতে হয়। একটি শক্তিশালী কম্পিউটার থাকলে যেকেউ বিটকয়েন মাইনর হতে পারে।
সাধারণ মুদ্রা দেশের সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। যখনই প্রয়োজন হয় তারা নতুন মুদ্রা উৎপাদন করে। বিটকয়েনের এইরকম কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। কিন্তু Bitcoin তৈরির একটি সীমা আছে। সারা বিশ্বে মোট বিটকয়েন ২১ মিলিয়নে পৌঁছানোর পর বিটকয়েন উৎপাদন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে । বিটকয়েনের পরিমাণ যদি খুব বেশি হয় তাহলে তার দাম কমে

যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই কারণে এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ধারনা করা হয়। প্রায় ১১ মিলিয়ন Bitcoin বর্তমানে বাজারে বিদ্যমান। প্রতি ঘন্টায় প্রায় ২৫ টি নতুন বিটকয়েন উৎপাদিত হচ্ছে।
বিটকয়েনের বাজার মূল্য প্রতি নিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৬ এর শুরু তে প্রতি বিটকয়েনের মূল্য ছিল মাত্র ১০০০ ডলার। কিন্তু ১০ নভেম্বর ২০১৭ অনুযায়ি প্র্রতি বিটকয়েনের মূল্য ৭২৬৬.৪১ ডলার। যা অনুমানের তুলনায় অনেক বেশি। ভবিষ্যতে এর মূল্য আর‌ও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। Bitcoin বর্তমানে খুব জনপ্রিয় লেনদেন ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে, প্রতি মাসে প্রায় ২.৯ থেকে ৫.৭ মিলিয়ন ব্যবহারকারী নিয়মিত বিটকয়েন ব্যবহার করছে।

বিটকয়েন এর সুবিধা সমূহঃ

  1. লেনদেনে সরকারের কোন নিয়ন্ত্রন থাকে না।
  2. কোন ব্যাংকের সাথে যোগাযোগের প্রয়োজন পরে না।
  3. লেনদেনে পরিচয় গোপন থাকে।
  4. স্বল্প সময়ে যেকোন জায়গায় টাকা পাছানো সম্ভব হয়।
  5. সঞ্চয়ের মাধ্যমে পরবর্তিতে অধিক মূল্যে বিক্রয় করা যায়।

বিটকয়েন এর অসুবিধা সমূহঃ

  1. মাইনর ট্রানজেকশন এপ্রুভ করতে অনেক সময় মাত্রাতিরিক্ত সময় নিয়ে থাকে।
  2. অকেন সময় বেআইনি কাজে ব্যবহার করা হয়।
  3. কোন সেবা না পেলে তার মূল্য আর ফেরত পাওয়া যায় না।
  4. বিটকয়েন ওয়ালেট নষ্ট হয়ে গেলে তা আর ফিরে পাওয়া যায় না।
  5. বাজার মূল্য অস্থিতিশীল।
অনেকেই এখন অনলাইন মাধ্যমে বিটকয়েন উপার্জন করছে। বিটকয়েন উপার্জন করার জন্য অনেক ওয়েবসাইট আছে, কিন্তু বেশিরভাগ ওয়েবসাইটেই গ্রাহক প্রতারিত হয়। সব চাইতে বিশ্বাসযোগ্য বিটকয়েন আয়ের উৎস হল মাইনর হিসেবে কাজ করা। বিটকয়েনকে অনেক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সহজেই পেজা বা বিকাশ দিয়ে অর্থ উত্তলন কার যায়। কিন্তু উত্তলনের পূর্বে দেখে নিবেন সাইট টি কতটুকু বিশ্বাস যোগ্য।

Wednesday, February 13, 2019

ফেসবুক যা কখোনই শেয়ার করবেন না!

ফেসবুক ব্যবহার করে না বা ফেসবুক সর্ম্পকে জানে না এমন মানুষ খুজে পাওয়া খুবই দূষ্কর ব্যপার। আমরা সবাই কম বেশী ফেজবুক এর সাথে পরিচিত। আমরা বেশীর ভাগ মানুষ নিছক শুধু মাত্র বিনোদনের জন্যাই ফেসবুক ব্যাবহার করে থাকি। তবে আজকাল ফেসবুককে অনেক মানুষ বিজনেস এর ক্ষেত্র/মার্কেটপ্লেস হিসেবে ব্যবহার করে। ফেজবুক এর যেমন উপকার আছে তেমনি আছে অপকার। আমরা কে কি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতেছি তার উপর নির্ভর করে এটা আমাদের উপকার করতেছে না অপকার করতেছে।

ফেসবুক ব্যবহারে সর্তকতা অবলম্বন

আমরা বেশীর ভাগ ফেসবুক ব্যবহারকরিরা অসচেতনামূলক ভাবে ফেজবুক ব্যবহার করি, যার কারণে মানুষ নিজের অজান্তেই নিজেকে অনিরাপদ করে তুলছে। ফেসবুকে আমরা আমরাদের সমস্থ তথ্য শেয়ার করে রাখি, সেই সাথে আমরা কখন কি করি, কোথায় জব করি,  কোথায় যাই, কি পছন্দ করি, কি পছন্দ করি না আরো অনেক কিছু.....। কেউ যদি আপনার ক্ষতি সাধন করার জন্য আপনাকে ফলো করে! তাহলে আপনার সকল ইনফরমেশন পাওয়ার জন্য ফেজবুকই যথেষ্ঠ।

তাই আজকে আপনাদের এমন কিছু বিষয় জানাব যে বিষয় গুলি আপনি কখনই ফেজবুকে শেয়ার করবেন না, আপনাকে নিরাপদ রাখার জন্য। তবে যারা বিজনেস এর জন্য ফেজবুক ব্যবহার করেন তাদেরকে কিছু বিষয় শেয়ার না করলেই নয়। তবে আপনি যে কোন ব্যক্তিগত তথ্য ফেজবুকে শেয়ার করেন না কেন! তা শেয়ার করার আগে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং নিরাপদ থাকুন। আমি ৯টি বিষয় সর্ম্পকে বলব এই ৯টি বিষয় ফেজবুকে শেয়ার করার সময় সতর্ক থাকুন।

Home Address: ফেসবুকে আপনি কখোনই আপনার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা ফেসবুকে শেয়ার করবেন না। এমনি কর্মস্থলের ঠিকানাও নয়। যদি কাউকে আপনার ঠিকানা দেওয়ার প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে আপনি তাকে পারসোনাল মেসেজ-এর মাধ্যমে দিতে পারেন।

Current Location: আপনি বর্তমান কোথায় অবস্থান করতেছন সেই লোকেশন ট্যাগ করে কখোন ফেজবুকে শেয়ার করেবেন না। এতে করে যে কউ আপনার বর্তমান অবস্থান সম্পক জানতে পারে, যা আপনার জন্য ঝুকির কারন হতে পার।

Going on Vacation: আমরা যখন কোথাও ভ্রমণে বের হয় তখন সেই বিষয়টি ফেসবুকে সবাইকে জানিয়ে দিই। যা মোটেও আমাদের জন্য নিরাপদ নয়। হয়তো আপনার অজান্তে আপনার কোন শত্রু থাকতে পারে যে এমন একটি তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলো। তাই ফেসবুকে এসব ফেসবুকে এসব তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

Date of Birth: বর্তমানে জন্ম তারিখ একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা অনেকেই নিজের জন্ম তারিখ ফেসবুকে উন্মুক্ত করে রাখি এটি মোটেও আমরাদের জন্য নিরাপদ নয়। কারণ তথ্য প্রযুক্তির যুগে জন্ম তারিখ (Date of Birth) থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা যায় যা হ্যাকারদের জন্য খুব সহজ ব্যপার। তাই ফেসবুকে জন্মতারিখ উন্মুক্ত রাখা থেকে বিরত থাকুন।

Credit card information: ক্রেডিট কার্ড হচ্ছে খুবই গোপন ও স্পর্শকাতর বিষয়। ক্রেডিট কার্ডের তথ্য আপনি ফেজবুকে শেয়ার কার কোনোভাবেই নিরাপদ নয়। তবে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ক্রেডিট কার্ডের তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে সেই প্রতিষ্ঠান কিংবা ওয়েবসাইট আপনার জন্য কতটুকু নিরাপদ বুঝে তারপর দিন। যাতে আপনার দেওয়া তথ্য নিরাপদ থাকে।

Where do children study: আপনার শিশু কোথায় পড়াশুনা করে? স্কুলে কখন যায় এবং কখোন আপনি তাকে স্কুল থেকে নিয়ে আসেন এসকল তথ্য ফেসবুকে শেয়ার করা থেকে বিতর থাকুন। এসকল তথ্য থেকে সন্ত্রাসীরা সহজেই আপনার সন্তানের অবস্থান সর্ম্পকে জানতে পারে। যার ফলে যে কোন সময় একটি দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

Baby pictures: ফেসবুকে আপনার সন্তানের ছবি শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। এতে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ে। কারণ শত্রুরা আপানার শিশুকে সহজেই চিনতে পারে। এরপর সুযোগ বুঝে শিশুটিকে অপহরণ করতে পারে। তাই ফেজবুকে সন্তানের ছবি শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।

Phone or mobile number: ফেসবুকে অনেকেই মোবাইল বা ফোন নাম্বার শেয়ার করে রাখে। যা সম্পূর্ণভাবে অনিরাপদ। পারসোনাল নাম্বার এভাবে ফেজবুকে শেয়ার করে রাখলে যে কেউ সহজেই আপনার নাম্বারটি পেতে পারে এবং বিনা কারনে আপনাকে সময়ে অসময়ে ফোন দিয়ে হেনস্থ করতে পারে। মোবাইল বা ফোন নম্বর একান্ত ব্যক্তিগত এবং গোপনীয় জিনিস। পরিচিত ব্যক্তিদের ছাড়া কাউকে ফোন বা মোবাইল নম্বর দেওয়া নিরাপদ নয়।

Complaints about your Boss: আপনি যেখানে জব করেন, সেখানে আপনার বসকে হয়ত আপনার ভালে নাও লাগতে পরে। আপনার বস সর্ম্পকে যদি আপনার কোন আভিযোগ থেকে থাকে এই রকম কোন তথ্য ফেজবুকে শেয়ার করবেন না। অনেক সময এটি আপনার এবং আপনার বস দুইজনের জন্যই ক্ষতির কারণ হতে পারে।

এখানে যে যে বিষয় সর্ম্পকে আপনাদের জানানো হলে এই বিষয় সমুহ ফেসবুকে বা অন্য যে কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। তাতে হয়ত অনেক দূঘটানা থেকে আপনি বেচে যেতে পারবেন।
তাতে হয়ত অনেক দূঘটানা থেকে আপনি বেচে যেতে পারবেন।